শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে তোমাদের জয়ধ্বনি শোনা যায়।
তিনি বলেন, আগামী দিনে তোমরাই হবে এদেশের নির্মাতা আর আজকের কন্যাশিশুই আগামীর নারী।
আজ বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন উপদেষ্টা।
এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য—‘আমি কন্যা শিশু—স্বপ্নে গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। একটি কন্যাশিশু সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবার থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েই বেড়ে ওঠে। কিন্তু কন্যাশিশুদের অন্ধকারে রেখে একটি সুষ্ঠু সমাজ কাঠামো যেমন গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তেমনি দেশকে আলোকিত করাও সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলোর বিপরীতে সকল পর্যায়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করে এর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, কন্যাশিশুরা এখন আর বোঝা নয়, বরং কন্যাশিশুরা প্রমাণ করেছে যে সুযোগ পেলে তারা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। বাংলার নারীরা আজ ঈর্ষণীয় সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষিত হচ্ছে এবং তারা নতুন নতুন পেশায় তারা জড়িত হচ্ছে। ফুটবল, ক্রিকেট খেলছে, এভারেস্টের চূড়া জয় করছে—তারা আজ কোথায় নেই?
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, যখন কন্যাশিশুরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, তখন দেশেরও মাথা উঁচু হয়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় যদি কোন মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়, তবে সেখানেই মন্ত্রণালয়ের টিম পৌঁছে যাচ্ছে। কন্যাশিশুদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে আমার ফেইসবুকে বারকোড দেওয়া আছে।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এবং শিশু বক্তা মোছাম্মদ আনিকা ও নুসরাত জাহান এমি বক্তৃতা করেন।
জাতীয় কন্যা শিশু দিবস- ২০২৫ উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে সকালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল গেট থেকে শিশু একাডেমি পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।