শিরোনাম
ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, প্রবীণদের জন্য সম্মানজনক ও সুখী জীবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে কমিউনিটিভিত্তিক কেয়ার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণরা আমাদের পথপ্রদর্শক। তাঁদের সর্বদা সম্মান দিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (বাইগাম)- এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এন্তেজার রহমান এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাইগামের মহাসচিব মনজু আরা বেগম।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো, আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, সযত্নে তোমায় রাখবো আগলে’- অত্যন্ত অর্থবহ। এই স্লোগানের মাধ্যমে আমরা প্রবীণদের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হবো। এটাই আমাদের মূল্যবোধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবীণরা যেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সম্মানজনক জীবন কাটাতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। উন্নত দেশের মতো কমিউনিটিভিত্তিক কেয়ার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রবীণ দিবসের আয়োজনেও পরিবর্তন আনতে হবে। নবীন ও প্রবীণের সংমিশ্রণে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে, যাতে একে অপরের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়।’
বিশেষ অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে প্রবীণদের অধিকার, সুস্থ জীবন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা প্রবীণদের অবদান স্মরণ করে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রবীণদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন।
এর আগে দিবস উপলক্ষে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্ব দেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। র্যালিতে অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবীণ নাগরিকবৃন্দ।