শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৫ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, “ক্লিন সিটি গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর।
শহরকে সুন্দর রাখতে সবাই যেন সচেতন হয়। যারা অনুমতি ছাড়া ব্যানার-পোস্টার টাঙাচ্ছে, তারা যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলে। ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা সাইনবোর্ড টাঙানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আজ সোমবার দুপুরে কাজীর দেউড়ি মোড়, চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদিঘী, চকবাজারসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে চলমান বেআইনি পোস্টার, ব্যানার ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “শহরের সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন ব্যানার-পোস্টার না লাগায়। যদি কেউ বিজ্ঞাপন দিতে চায়, তাহলে সেটা অনুমতি নিয়েই করতে হবে। আমরা চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা—সবকিছুই আইনের আওতায় আসুক।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেই প্রতি মাসে অন্তত একবার মাঠে নামি এই ধরনের অভিযান পরিচালনার জন্য। কারণ, এই শহর আমাদের নিজেদের। যদি আমরা নিজের শহরের প্রতি দায়িত্বশীল হই, তাহলে কেউই শহরকে নোংরা রাখতে পারবে না। ব্যানারের কারণে কত সুন্দর দৃশ্য ঢেকে গেছে—সবুজ গাছপালা, রাস্তার সৌন্দর্য। এসব সরানোর পরই বোঝা যায়, শহর কতটা সুন্দর হতে পারে।”
মেয়র উদাহরণ টেনে বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য ব্যানার টাঙিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অন্যদেরও উৎসাহিত করছে অবৈধভাবে ব্যানার টাঙাতে। আমরা চাই তারা যেন দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে আইন মেনে চলে।”
দুঃখ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামে ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কর্পোরেশনের অনুমোদন নেয়। এতে সিটি কর্পোরেশন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ একটি ব্যানারের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই কর্পোরেশন শহরকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে কাজ করে।”
অভিযানে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।