শিরোনাম
সিলেট, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর, বালু লুট ও হত্যাসহ সাত মামলার এজাহারনামীয় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রতন শেখ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর আলফু চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। সম্প্রতি সাদাপাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটসহ বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় করা চারটি মামলায় কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া শীর্ষ আসামির তালিকায় ছিলেন। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। পটপরিবর্তনের পর আলফু চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুট করতেন।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর ধলাই নদীর একটি বালু মহালের ইজারা পান আলফু চেয়ারম্যানের ভায়রা ভাই হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওই ইজারার মূল মকসুদ আহমদ, যিনি আলফু চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই। তাদের শেল্টারে নতুন উদ্যোমে লুটপাট শুরু হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলী (৩৫) হত্যা করা হয়। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। একই বছরের ২৬ আগস্ট দেশত্যাগের সময় আলফু চেয়ারম্যানকে তামাবিল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
ওসি রতন শেখ বলেন, কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। পাথর-বালু লুটের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।