বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২০

নেত্রকোণায় বিশ্ব নদী দিবসে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত বিষয়ক জন মতামত 

ছবি: বাসস

নেত্রকোণা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে "আমাদের নদী আমাদের জীবন" এ প্রতিপাদ্যে জেলায় নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করে নদী রক্ষায় জন মতামত কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

বেসরকারি সংস্থা বারসিকের সহযোগিতায় পরিবেশবাদী সংগঠন শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি এবং সবুজ সংহতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। 

আজ রোববার দুপুর ২ টায় জেলা শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় মগড়া নদীর পাড়ে সাতপাই স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়। এসময় ৭৫টি নদীর নাম লিখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিশুরাও দাঁড়িয়ে নদী রক্ষার দাবি জানায়। 

পরিবেশবাদী সংগঠন ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সম্পাদক আলপনা বেগমের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সেভ দ্য এনিমেলস অব সুসংয়ের সভাপতি রিফাত আহমেদ রাসেল। তিনি বলেন, এই মগড়া নদীকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণা শহর গড়ে উঠেছিল। জেলার বিভিন্ন বানিজ্যিক বাজার গড়ে উঠেছে নানা নদী নিয়ে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মেরে ফেলা হয়েছে সোমেশ্বরী সহ বিভিন্ন নদীগুলো। এ জেলায় চারটি আন্ত;সীমান্ত নদী রয়েছে যেগুলোর প্রতিটিই খনিজ সম্পদে ভরপুর। এগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার করলে পরিবেশ বিপন্ন হবে না। দিনে দিনে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। 

পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নাজমুল কবীর সরকার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁচাতে আন্দোলন করে আসছি। এই নদীগুলো উদ্ধার না হলে সমাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। কারণ নদী হচ্ছে এমন একটি সত্ত্বা যা মানুষকে সহনশীল করে তোলে। প্রতিটি সাধক মানুষ নদী পাড়ের। তাই নদী রক্ষা জরুরি। 

লেখক,কবি ও গবেষক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা যা পারিনি তা যেন আগামী প্রজন্ম করতে পারে এজন্য আমাদের সেই কাজটা করে যেতে হবে। শত নদীর জেলা নেত্রকোণার বিভিন্ন নদীর ছায়ায় নানা রকমের গান, কবিতা বলার মানুষ গড়ে ওঠেছে। তাই ইতিহাস জানাতে হবে আগামী প্রজন্মকে। 

বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) নেত্রকোণার সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান বলেন, নেত্রকোণা জেলায় ৯৫ টি নদ নদীর মধ্যে ৫৪ টি বিলুপ্ত, ১৭টি প্রায় বিলুপ্ত, ১৪ টি শুধুমাত্র বর্ষাকালে বহমান। তাই সচেতনতা বাড়াতে শিশু কিশোরসহ নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা।

এই কর্মসূচিতে শিশু, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কবি, সংস্কৃতি কর্মী, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ অংশ নেন।