শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ জানান।
নেতারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রসমাজের বহুল প্রত্যাশিত রাকসু নির্বাচন এক অদৃশ্য ইশারায় বারবার ব্যাহত হচ্ছে। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার ও আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশেষ একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন আয়োজনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির অজুহাতে পুনরায় তারিখ পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে প্রশাসন।
শিবির নেতারা বলেন, আমরা মনে করি, এটি কোন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়; বরং এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অবিবেচনাপূর্ণ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান তারা।
প্রশাসন শুরু থেকেই ছাত্রদলকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রশিবিরের দুই শীর্ষ নেতা। তারা জানান, ওই দল প্যানেল গঠন করতে না পারায় নির্বাচন ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে তফসিল ঘোষণার কথা থাকলেও করা হয় ২৮ জুলাই। এখন নির্বাচনের ঠিক আগে ফের তা পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হল।
বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রশাসন পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কি না, সে বিষয়েও শিবির শঙ্কিত। কারণ ইতোমধ্যেই একটি দলের অনুগত শিক্ষকরা অসহযোগিতা ও প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, ‘কোন কোন প্যানেল নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় নির্বাচন বানচালের নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে তাদের উল্লাসই যার স্পষ্ট প্রমাণ। রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন প্রহসন কাম্য নয়। বিপুল সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় ছাড়াও অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস পর্যন্ত করতে পারেননি। কিন্তু এসব বিষয়কে উপেক্ষা করে প্রশাসন একটি দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে।’
প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। কেন্দ্রীয় শিবির নেতারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা রাকসু আদায়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেবে এবং সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। ক্যাম্পাসকে দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করে সত্যিকারের শিক্ষার্থীবান্ধব করে গড়ে তোলার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তারা।