বাসস
  ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৬

নাটোরে ‘সাপ ও সর্পদংশন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা’  শীর্ষক প্রশিক্ষণ 

ছবি: বাসস

নাটোর, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জেলার সিংড়া উপজেলায় ‘সাপ ও সর্পদংশন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল দশটায় উপজেলা কৃষি হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ জানান, নাটোরসহ সারাদেশে প্রতিবছর সাড়ে সাত হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়।

কর্মশালায় মূখ্য আলোচক হিসেবে এ তথ্য জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ২০২৩ সালের গবেষণা জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে প্রতি বছর দেশে চার লাখ  মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। 

প্রতিবছর আড়াই হাজার গবাদি পশু এবং ৫৫ হাজার হাঁস, মুরগী ও কবুতর মারা যায় সাপের কামড়ে। বন্যা বা অতিবৃষ্টির কারণে সাপের আবাস বিনষ্ট ও খাদ্য অনিশ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাপ মানুষের আবাসস্থলে চলে আসছে। ফলে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশী ঘটছে।  

তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাপের অনন্য ভূমিকা আছে। একটি দাঁড়াশ সাপ প্রতিবছর তিন একর জমির ফসল ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করে। কার্বলিক এসিড ঘরে থাকলে সাপ আসে না-এই প্রচলিত ধারণা ভুল। 

মানুষের আবাস ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই সাপের দংশন প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম। 

কর্মশালায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমেরাররি প্রফেসর মো. ফরিদ আহসান। 

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায়  স্বাগত বক্তব্য রাখেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।

মূখ্য আলোচক আরো বলেন, সাপ কামড় দিলে রোগীকে সাহস জোগাতে হবে, রোগীকে স্থির রাখতে হবে এবং দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে  সাপে কামড়ের ব্যক্তির যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা আছে।