শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না, নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ড্রেন ও খালে আবর্জনা না ফেলা এবং নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, চসিক নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন না হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
ভারী বৃষ্টিপাতের পর চট্টগ্রাম নগরীর পানিপ্রবাহ পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার সকালে তিনি নগরীর কাপাসগোলা, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুন্সিপুকুর পাড়, বাদুরতলা ও টুপিওয়ালাপাড়া এলাকার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
পরিদর্শনের সময় নগরীর কাতালগঞ্জ-বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার পেছনে দু’টি কারণ চিহ্নিত হয়। নগরীর হিজড়া খাল এবং বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে হিজড়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত বড় নালাটিতে জলপ্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন না থাকা জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এজন্য মেয়র চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) হিজড়া খাল সংস্কার কার্যক্রম বেগবান করতে নির্দেশনা দেন এবং খালের সঙ্গে সংযুক্ত বড় নালাটি থেকে আরো মাটি উত্তোলনের জন্য চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শন শেষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। চসিকের আওতাধীন ড্রেনেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি ওয়াসা, সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাল ও ড্রেনগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার ও সংস্কার করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। এ জন্য নগরবাসীর সহায়তা ও আন্তঃসংস্থাগত সমন্বয় জরুরি।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে চসিকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন পরিষ্কার, পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন এবং ভাঙা-ধসে পড়া ড্রেন মেরামত করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানাই।