বাসস
  ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৭

রাজশাহীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে তিস্তার পানি ফের ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।ছবি : বাসস

রাজশাহী, ৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) :  উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি ফের ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

আজ (রোববার) সকাল ৯টায় জেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে। 

পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়িতেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১৬ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। শনিবার রাতেও যেখানে পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে, সেখানে এখন তা ওপরে চলে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজের লেভেল রিডার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে পানির গতি দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এখন তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

তিনি জানান, দ্রুত গতিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, ‘সকালে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এখন উজান থেকে পানি আসায় আমাদের বাড়ি ঘরের উঠানে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।’

আদিতমারীর মহিষখোচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী ও গোবর্ধন এলাকাও আংশিক প্লাবিত হয়েছে। অনেক ধানক্ষেত ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উৎকণ্ঠা।

সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম জানান, ‘নিম্নাঞ্চলে কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।’

রংপুরের গঙ্গাচড়ার চর বাগেরহাটের বাসিন্দারা  জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর সকাল থেকে আবারো পানি বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, ‘উজান থেকে প্রচুর পানি আসছে, সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।