বাসস
  ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:১২

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত

জোয়ারের পানি বেড়ে পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালীর দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: বাসস

পটুয়াখালী, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ থেকে তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেড়ে উপকূলীয় জেলার রাঙ্গাবালীর দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার জনগণের মাঝে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গাবালীর আগুনমুখা ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানি উপচে এবং কোথাও কোথাও ভেঙেপড়া বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য-চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গরুভাঙ্গা গ্রাম এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকাসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।

রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের নয়ারচরের গ্রামের বাসিন্দা জসীমউদ্দীন (২৮) জানান, অনেক পরিবারের ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের মালামালসহ সবকিছু পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত পানির কারণে তারা ঘর ছেড়ে বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান করছে।

চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বায়েজীদ গাজী, আতিক গাজী, রহিম গাজী এবং জীবন গাজী বলেন, মধ্য-চালিতাবুনিয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পানি ঢুকে পুরো ইউনিয়নের বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। অনেকের ঘরে থাকার মত পরিস্থিতি নেই। জোয়ার  এলে ডুবুডুবু পানিতে তলিয়ে যায়। আর যখন ভাটা হয় তখন একটু কমে যায়। কিন্তু ঘরে থাকা বা রান্না করার মত কোন পরিস্থিতি থাকে না। ফলে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। অনেকের কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে চরমোন্তাজের বাসিন্দারা বলেন, চরআন্ডা এলাকার বহু দিন ধরে ভেঙে থাকা বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে গ্রামটি প্লাবিত হয়। নতুন করে আরো একটি অংশের বাঁধ ভেঙে গেছে বলেও জানান তারা।

এছাড়া স্থানীয় মৎস্য চাষিরা বলেন, প্লাবনের কারণে এলাকার অনেক পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

মৎস্য চাষী জুবায়ের গাজী বলেন, আমার পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। কিন্তু সব মাছ পুকুর ডুবে পানিতে ভেসে গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি জানি না কীভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে আবার মৎস্য চাষ করব।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকার কারণে পানির তীব্রতা বেড়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক মৎস্য ঘের ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পরে জানা যাবে।