শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : সেশেলসে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক হাই কমিশনার ড. জকি আহাদ দেশটির রাষ্ট্রপতি ওয়েভেল রামকালাওয়ানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সেশেলসের রাষ্ট্রপতি ভবন ‘স্টেট হাউসে’ এই পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচয়পত্র গ্রহণের পর সেশেলসের রাষ্ট্রপতি হাই কমিশনার ড. আহাদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির প্রতি তার শুভকামনা জানান।
তিনি বলেন, সেশেলস সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
সেশেলসের রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি ঢাকার একটি স্কুল ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশি জনগণের প্রতি সংহতি জানান।
তিনি সেশেলসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিশেষ করে নির্মাণ, কৃষি ও পর্যটন খাতে তাদের অবদানকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে চূড়ান্ত না হওয়া সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিসমূহ দ্রুত সইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে হাই কমিশনার ড. জকি আহাদ সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
ড. আহাদ সেশেলস সরকারকে তার প্রতি সহযোগিতা ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি তার মেয়াদকালে দু‘দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হাই কমিশনার সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও চামড়া খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির বিকাশে আগ্রহ রয়েছে এবং এই খাতে সেশেলস সম্ভাব্য সহযোগিতা করতে পারে।
হাই কমিশনার সেশেলসের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়ায় দেশটির সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উভয়ই আশা জানিয়েছেন যে, তারা দু‘দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার নতুন নতুন পথ সন্ধানের জন্য ভবিষ্যতে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ড. আহাদ সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে সেশেলসের স্টেট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে হাইকমিশনে কর্মরত প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।