বাসস
  ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪৪
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪৯

সিসিলি’র সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী ঢাকা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সামুদ্রিক অর্থনীতি এবং সিসিলিতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের নতুন অনাবাসী হাইকমিশনার ড. জোকি আহাদ মঙ্গলবার ভিক্টোরিয়ার স্টেট হাউসে সিসিলির প্রেসিডেন্ট ওয়াভেল রামকালাওয়ানের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেসিডেন্ট রামকালাওয়ান ড. আহাদকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করেন।

এ ছাড়া তিনি সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতে ড. আহাদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন এবং আগমনের পর থেকে সিসিলি’র সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।

পোশাকশিল্প, ওষুধ, পাট, চামড়া ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, এ ক্ষেত্রগুলোতে সিসিলি’র সঙ্গে সম্ভাব্য নতুন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

সিসিলি’র শিল্প ও কৃষিখাতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. আহাদ দক্ষ, অর্ধদক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, নীল অর্থনীতি খাতে বাংলাদেশের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিসিলি’র অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে শিখতে আগ্রহী এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।

হাইকমিশনার ড. আহাদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট রামকালাওয়ানকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রেসিডেন্ট রামকালাওয়ান বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বলেন, সিসিলি’র উন্নয়নের ক্ষেত্রে  তারা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে সিসিলি’র স্টেট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ও হেড অব চ্যান্সারি মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এদিনই ড. আহাদ সিসিলি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ ও কর্মসংস্থান ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া ফ্রাঙ্কুর্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এ সাক্ষাৎগুলোতে বাংলাদেশ-সিসিলি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, উচ্চপর্যায়ের সফর, শ্রমিক নিয়োগ ও কর্মসংস্থান ও সামাজিক খাতের সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।