শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষ হিসেবে বিভাজন তৈরি করেছে।
তিনি বলেন,"স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করেছি। আমরা এখানে কোনও বিভাজন চাইনি। কিন্তু আওয়ামী লীগই এই বিভাজন তৈরি করেছে।
তিনি আজ "স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল: বিদ্রোহের একটি অজানা অধ্যায়" বইয়ের প্রচ্ছদ উন্মোচনকালে একথা বলেন। আদর্শ প্রকাশনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা স্বাধীনতার পক্ষেও ও বিরোধী শক্তি তৈরি করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছিল তারা এখন দেশের বাইরে।
তিনি বলেন, আমরা কি সেই একই রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করব? আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই।
এটা কী ধরণের ঐক্য? এটা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জাতীয় ঐক্য। এটা আমাদের জাতীয় শক্তি আমরা এই ঐক্যকে আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ব্যবহার করব।
তিনি আরো বলেন, যতদিন বাংলাদেশের রক্তাক্ত ইতিহাস লেখা থাকবে, ততদিন শহীদ আবু সাঈদের নাম জ্বলজ্বল করবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব মোর্শেদ বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে তৈরি হয়েছিল।
রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সকল স্তরের মানুষ এর পেছনে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত তিনটি আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে ছাত্রসমাজ ফ্যাসিবাদী শাসনকে উৎখাতের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। তিনটি আন্দোলন ছিল ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন এবং সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন।
তিনি বলেন, “আমাদের ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তৈরিকারী আন্দোলনগুলিকে স্মরণ করা উচিত এবং সেগুলি সম্পর্কে লেখা উচিত। কারণ সম্মিলিত অংশীদারিত্ব গণঅভ্যুত্থানের গতিপথকে পরিচালিত করেছিল।” আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।