শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নবগঠিত আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (আইটিআইআইইউ) তাদের পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর প্রথম সাত মাসে প্রায় ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির বিষয় উদঘাটনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে গত সাত মাসে নবগঠিত এই দপ্তরটি ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত পরিচালনা করেছে এবং এর ফলে প্রায় ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি শনাক্ত করেছে। এনবিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
উদঘাটিত রাজস্ব ফাঁকি হতে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইটিআইআইইউ তার গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজস্ব পুনরুদ্ধার, কর ফাঁকি শনাক্তকরণ এবং আইনানুগ ও ন্যায্য রাজস্ব সংগ্রহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছে।
এছাড়াও, ইতোমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির তথ্য পাওয়ায় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহ সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিক কর প্রদানে উৎসাহিত করছে এবং একইভাবে কর ফাঁকিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
যেকোনো ধরনের কর ফাঁকি ও বেনামি সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট বদ্ধ পরিকর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের যাত্রা নৈতিক, প্রযুক্তিগত ও আইনগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে অর্জিত সাফল্যই প্রমাণ করে- এই ইউনিটের কার্যক্রম কেবল রাজস্ব পুনরুদ্ধার নয়, করদাতাদের কমপ্লায়েন্স বৃদ্ধি ও কর সংস্কৃতি বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, কর আদায়ে ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জাতির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা, প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং দক্ষ মানবসম্পদ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শক্তিশালী রাজস্ব কাঠামো বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।