বাসস
  ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৮
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৮:১৭

‘পরিবেশগত মানবাধিকার নিশ্চিতে সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য’

‘এঙ্গেজ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার এক কর্মশালার আয়োজন করে ডাসকো ফাউন্ডেশন ও নেটজ বাংলাদেশ। ছবি : বাসস

রাজশাহী, ৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পরিবেশগত মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত অপরিহার্য বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছর ধরে পানি সংকটাপন্ন বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার চরম হুমকির মুখে পড়েছে। তাই একমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।

গত মঙ্গলবার রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একটি প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালায় এ অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা।

‘ন্যায্য রূপান্তরের জন্য পরিবেশগত মানবাধিকার: জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলকে সহনশীল কমিউনিটিতে রূপান্তরে স্থানীয় সিএসও’র সক্ষমতা বৃদ্ধি (এঙ্গেজ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে ডাসকো ফাউন্ডেশন ও নেটজ বাংলাদেশ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে তার বিশেষজ্ঞ মতামত উপস্থাপন করেন।

ডাসকো ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তানোর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত সালমান, ইউরোপীয় প্রতিনিধি হুবার্ট ব্লম, নেটজ বাংলাদেশের পরিচালক শহীদুল ইসলাম এবং সংস্থাটির প্রতিনিধি সারা খাতুন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডাসকো ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম খান প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বাস্তবায়ন কৌশল তুলে ধরেন।

তিনি জানান, রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী এবং নওগাঁর মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন ও সংবেদনশীল করা।

জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ৭৫ হাজার ৬৩০ জন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ সক্ষমতা উন্নয়ন, দ্রুত সহায়তা এবং অধিকার সুরক্ষায় উপকৃত হবেন।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি সামগ্রিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টার্গেটকৃত জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, একটি সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার, যেখানে মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে পারে, পরিষ্কার পানি, বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও কৃষিজমির সহজলভ্যতা থাকে এবং জবাবদিহিমূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকে।