বাসস
  ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:২২

কাল থেকে চট্টগ্রাম নগরের আরও ২৯ ওয়ার্ডে বিক্রি শুরু হবে ন্যায্য মূল্যের চাল-আটা

চট্টগ্রাম নগরের আরও ২৯ ওয়ার্ডে বিক্রি শুরু হবে ন্যায্য মূল্যের চাল-আটা। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে খাদ্য অধিদফতর। ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় আগে নগরের ১১টি ওয়ার্ডে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হলেও আগামীকাল সোমবার থেকে নতুন করে আরও ২৯টি ওয়ার্ডে বিক্রি করা হবে ন্যায্যমূল্যের চাল-আটা।

জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) মো. ফখরুল আলম বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ওএমএস কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমদিন ১২ ডিলারের মধ্যে ১১ ডিলারকে চাল-আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডে ডিলারশিপ প্রত্যাহারের আবেদন করায় তার নামে বরাদ্দ হয়নি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনোনীত ২৯ ওয়ার্ডের ডিলার চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে সবমিলে ৪০ ওয়ার্ডে ন্যায্যমূল্যের চাল-গম বিক্রি করা হবে।

খাদ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রতিজন ডিলার এক টন করে চাল ও এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে। ভোক্তাদের কাছে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রি করবে ডিলাররা।

গত বছরের ৪ নভেম্বর নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেয় খাদ্য অধিদপ্তর।

এতে ৪২০টি আবেদন জমা পড়ে। ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ঊচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন তৎকালীন ডিলাররা।

তাছাড়া ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া কয়েক জন ঠিকাদার ও খাদ্য পরিদর্শক সিন্ডিকেট যোগসাজশে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে একাধিক আবেদন জমা পড়ে ডিলার নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে।

পরে আদালতের আদেশে ৩০ জুন পর্যন্ত ঝুলে যায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে, গত ৫ মে ডিলার না থাকা ১১ ওয়ার্ডে ডিলার নিয়োগ করা হয়।

ডিলার নিয়োগ জটিলতা কাটিয়ে গত ২৬ জুন নগরীতে নতুন করে আরও ২৯ ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ডিলার নিয়োগ করে খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু আদালতের বিধি-নিষেধের কারণে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওএমএসের চাল-আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

ডিলার নিয়োগে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের (খাদ্য পরিদর্শক) বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ডিলার নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এরমধ্যে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দলীয় প্রভাব বিস্তারকারী দুই খাদ্য পরিদর্শককে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

দুই কর্মচারী ও একাধিক ডিলার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে জেলা খাদ্য বিভাগকে গিলে খাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেছে সিন্ডিকেটটি।