শিরোনাম
দিনাজপুর, ৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাউনি, শৌচাগার ও পর্যাপ্ত বসার স্থান না থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সীমান্তবর্তী হিলি স্থলবন্দরের কাছে অবস্থিত রেলস্টেশনটি ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের মাধ্যম। কিন্তু যাত্রী ছাউনি না থাকায় বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে এবং শীতে কুয়াশার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাব এবং নারীদের জন্য পৃথক শৌচাগার না থাকায় তারা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী রেলওয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে গত ১৫ জুন একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই অবকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, হিলি স্থলবন্দর দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও ব্যবসায়ী যাতায়াত করেন। তবে যাত্রীদের জন্য নেই কোনো ছাউনি বা পর্যাপ্ত বসার জায়গা।
তিনি আরো বলেন, বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে ও শীতে ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। একটি মাত্র টয়লেটে প্রায়ই পানি থাকে না। সরকারের কাছে স্টেশনের আধুনিকায়ন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের দাবি জানাচ্ছি।
স্টেশনে আসা কয়েকজন যাত্রী বলেন, একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম থাকায় ট্রেন দুই নম্বর লাইনে দাঁড়ালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে হ। দ্রুত যাত্রী ছাউনি, বসার স্থান ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, শীত ও বর্ষায় যাত্রীরা অনেক সমস্যায় পড়েন। বিষয়টি রেলওয়ে বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। গত ২২ জুন পাকশীর পশ্চিম জোন থেকে রেলওয়ে কর্মকর্তারা হিলি স্টেশনের সমস্যাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দল দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।