ঢাকা,২ ডিসেম্বর,২০২১ (বাসস) : আগামী ৪ ডিসেম্বর শনিবার ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে তৃতীয় বারের মতো সারাদেশে এ দিবসটি পালন করা হবে।
এ বছর জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারন করা হয়েছে, ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন ঃ বাংলাদেশের উন্নয়ন’।
এদিকে এ উপলক্ষ্যে আজ কৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেন, বিশ্বব্যাপি চলমান করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) বিপর্যয়ের অভিঘাতে বস্ত্রখাত রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ৭টি সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি বস্ত্রখাতেও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করায় এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম ও এস.এম.সেলিম রেজা ও বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুজ্জামানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্রশিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর’কে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী পালন করা হবে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আগামী শনিবার বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কারিগরী জ্ঞানের সমাবেশ ঘটিয়ে বস্ত্রশিল্পকে বিশ্বায়নের পথে এগিয়ে নিতে এ মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।