শিরোনাম
গাজীপুর, ১০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর করে দেওয়া হবে। যাতে অন্যরা দেখতে পারে আসামীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি-না।
৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আসামি বেশি হওয়ার কারণে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় দোষীদের পাশাপাশি নিরীহ লোকও আছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার ১০/১৫ জনের নাম দেয়া হয়েছে, ২০০/২৫০ জন বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্তে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে মোটামুটি নিরীহ অনেক মানুষও থাকতে পারেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা এরইমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। এখন আপনারা ঘরে বসেই জিডি করতে পারেন। মামলা করার জন্য আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, তাই হয়রানি পোহাতে হবে না।
তিনি বলেন, পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে বা দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা অ্যাটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠাবোধ করবো না, যদি কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে।
জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোনো অবস্থায় কন্ট্রোলে আনতে পারতাম, তাহলে কিন্তু দেশ অনেক এগিয়ে যেত। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করেন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এরআগে সকাল ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাছা থানা ও ব্যারাক পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানসহ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।