শিরোনাম
আসাদুজ্জামান
সাতক্ষীরা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলার ৭টি উপজেলায় কোরবানির জন্য মোট একলাখ ৬০৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ১৯৯টি গরু এবং বাকী ৫১ হাজার ৪০৭ টির মধ্যে রয়েছে মহিষ, ছাগল ও ভেড়া।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮টি। চাহিদা মিটিয়ে এ জেলা থেকে এবার ১৫ হাজার ২৮৮টি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো যাবে।
এদিকে, জেলার ৭টি উপজেলার ১২ হাজার ৮৯৪টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধ থাকায় দেশী ও শংকর জাতের পশুপালনে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার খামারিদের। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে কোরবানির গরু খামার। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও আর গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুপালন ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। বিশেষত, শহরাঞ্চলে যেসব খামারিরা পশু পালন করেন তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিষ্ণপদ বিশ্বাস জানান, এবছর সাতক্ষীরা জেলায় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮টি। তার বিপরীতে জেলার ১২ হাজার ৮৯৪টি ছোট বড় খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে একলাখ ৬০৬টি পশু। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকবে ১৫ হাজার ২৮৮টি পশু। এসব উদ্ধৃত পশু দেশের অন্য জেলায় পাঠানো যাবে।
তিনি আরো জানান, কোরবানির পশু বিক্রির জন্য জেলায় স্থায়ী হাট রয়েছে ৯টি। আর অস্থায়ী গরুর হাট তৈরী করা হয়েছে আরো ৬টি। এসব হাটে ক্রয় বিক্রয় করা যাবে যেকোন পশু। এছাড়াও রয়েছে অনলাইন বিক্রির ব্যবস্থা। গরুর হাটগুলোতে ১৫টি মেডিকেল টীম কাজ করছে। বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের রয়েছে ৯ সদস্যের একটি টিম। বাজার গুলোতে রয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা প্রতারনার শিকার না হন।