শিরোনাম
নাটোর, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): আজ মধু মাসের প্রথম দিন। আজ থেকে জেলায় গাছ থেকে আম এবং লিচু সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজারে আগাম জাতের আম, লিচু, জামরুল কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাজারে তালের শাঁস উঠতে শুরু করবে। এরপর বাজারে আসবে জাম এবং পর্যায়ক্রমে কাঁঠাল। আগে থেকেই বাজারে বাঙ্গি কেনা-বেচা হচ্ছে।
শহরের খুচরা ফল ব্যবসায়ী সোহানুর রহমান জানান, বাজারে আটির আম ৪০ টাকা কেজি, আগাম জাতের গোপাল ভোগ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি এবং মোজাফফর জাতের লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অন্যান্য জাতের আম, লিচু উঠলে দাম কমবে।
খুচরা বাজারে জামরুল উঠেছে। প্রতি কেজি ৫০ টাকা। প্রতি কেজি ছফেদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা । এক একটি বাঙ্গি ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আতাফলও উঠতে শুরু করেছে বাজারে।
জেলার লিচু এবং আমের আড়তগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। বাগানে ফলের গাছ ইজারা নেওয়া শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার ঠাকুর লক্ষ্মীকোল এলাকার তালের শাঁস ব্যবসায়ী আরিফ জানান, এ বছর এক একটি তাল গাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছি। শনিবার থেকে বাজারে তালের শাঁস বিক্রি শুরু করবো।
জেলার উত্তরা গণভবনে বিভিন্ন জাতের আম, লিচু, বেলসহ অন্যান্য ফলের গাছে সমৃদ্ধ। গতকাল উত্তরা গণভবনের ফলবাগান দুই লাখ টাকা মূল্যে ইজারা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. শামীম হোসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলায় চলতি বছরে ৮৮৭ হেক্টর লিচু বাগান থেকে ছয় হাজার ৫০৮ টন লিচু এবং পাঁচ হাজার ৬৯৩ হেক্টর আম বাগান থেকে ৬০ হাজার ৬৭৯ টন আম আহরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ১৫১ হেক্টর বাগান থেকে দুই হাজার ১৮৩ টন কাঁঠাল, ১৬ হেক্টর জমি থেকে ২১৫ টন জামরুল, ১০৮ হেক্টর জমি থেকে তিন হাজার ১০২ টন তালের শাঁস, ১৪ হেক্টর বাগান থেকে ১৬৫ টন সফেদা, ৪১ হেক্টর জমি থেকে ৩১৪ টন আতা ও শরীফা, এক হাজার ৩৬ হেক্টর জমি থেকে ২৯ হাজার ১৬৮ টন বাঙ্গি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান জানান, চলতি মৌসুমে মধু মাসের ফলের ফলন ভালো হয়েছে। নিরাপদ ফল নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।