বাসস
  ১২ মে ২০২৫, ২১:০৮

গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণের বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন নেপালের ডেপুটি স্পিকার

রবিবার, নেপালের প্রতিনিধি পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানামাগার ঢাকায় নেপাল দূতাবাসে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস) : নেপালের গণ প্রতিনিধি পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানামাগার গণমাধ্যম খাতে নারীর পূর্ণ ও অর্থবহ অংশগ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো কাঠামোগত ও সামাজিক বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নারী-বান্ধব গণমাধ্যম পরিবেশ তৈরির জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন।

একজন রাজনীতিবিদ ও সামাজিক কর্মী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকরা প্রায়শই গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন যা সংবাদ কক্ষে ও বাইরে তাদের অবস্থান ও সুযোগ সীমিত করে।

ডেপুটি স্পিকার গতকাল ঢাকায় নেপাল দূতাবাসে ‘নেপাল ও বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা জোরদার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। 

ঢাকায় নেপাল দূতাবাস এবং নেপালের ইনিশিয়েটিভস অব মিডিয়া উইমেন (আইএমডব্লিউ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠান উভয় দেশের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে সংলাপ, নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলা ও পারস্পরিক শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং প্রায়শই না বলা গল্প বলার ক্ষেত্রে পেশাজীবী নারী গণমাধ্যম কর্মীদের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরেন।

তিনি নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্ত:সীমান্ত গণমাধ্যম সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আইএমডব্লিউ-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

আইএমডব্লিউ সভাপতি লক্ষ্মী ভান্ডারী সাংবাদিকতায় নারীর ক্ষমতায়নে তার সংস্থার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং এ অনুষ্ঠানটি এ অঞ্চলের নারী সাংবাদিকদের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারিত্বের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) ড হুসনে-আরা বেগম এবং জয়েন্ট কাউন্সিল সিসি২৩-এর উপ-পরিচালক স্বপ্নিল।  তারা গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারী-পুরুষের সমতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।  

এর আগে, নেপাল ও বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকরা অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেন, যেখানে তারা ব্যক্তিগত ও পেশাগত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা ও সংহতির পথ অনুসন্ধান করেন।