বাসস
  ০৮ মে ২০২৫, ১৫:৪৩
আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১৬:১৩

সরকারি হাসপাতালের রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া যাবে না : সংস্কার কমিশন

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : সরকারি হাসপাতালের রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া যাবে না বলে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।

একইসঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে সিসিটিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়ার রেকর্ড রাখতে এই সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের প্রতিবেদনের স্বাস্থ্য সেবাদান ও ভৌত অবকাঠামো শিরোনামের তৃতীয় পরিচ্ছেদে হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় পরিষেবাভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাবনার ৯২ পৃষ্ঠায় ‘সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা’ শিরোনামে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকারি সেবা প্রদানকারী দ্বারা কোনো রোগীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। কোনো ওষুধ প্রস্তুতকারকের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখা যাবে না। কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখা যাবে না এবং কোনো অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া যাবে না। প্রতিটি ওটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে হবে, শল্য চিকিৎসার প্রতিটি পদক্ষেপ শল্যদলের প্রধানকে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হবে এবং তার রেকর্ড থাকতে হবে, যে কোনো সেবাই সেখানে দেওয়া হোক তার রেকর্ড রাখতে হবে এবং সেবা গ্রহণকারী চাইলে যুক্তিসঙ্গত অর্থের বিনিময়ে তা রোগী বা রোগীর পক্ষকে দিতে হবে; এর অন্যথা হলে উপযুক্ত বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, পরিষেবা প্রদান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বেসরকারি খাতের ঝুঁকি ভাগাভাগি নিশ্চিত করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব চুক্তিকে উৎসাহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যাতে দক্ষতার সঙ্গে চুক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালিত করতে পারেন তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্লিনিক্যাল সেবায় দুর্ঘটনা-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ব্যবহার করতে হবে।

সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।

কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।