শিরোনাম
|| শাহজাহান নবীন ||
ঝিনাইদহ, ২ মে ২০২৫ (বাসস) : জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে, লাভের আশায় দিন গুনছেন তারা। এখন মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষাণ- কিষাণীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। অনেক মাঠের ধান ইতোমধ্যে কেটে ফেলেছেন চাষীরা। তবে গত সপ্তাহে কয়েক দফা আকষ্মিক বৃষ্টিপাতে অনেক কৃষকের মাঠের ধান ভিজে গেছে। ফলে ভিজে যাওয়া ধান মাঠেই শুকাচ্ছেন অনেকেই। অনেকেই মাঠ থেকে ধান মাড়াই করে নিচ্ছেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার রামনগর, ভবানীপুর, মায়াধরপুর, বৈডাঙ্গা, গোপালপুর এলাকার বিস্তীর্ণ ধানের মাঠে প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কেটে ফেলেছেন কৃষকেরা। ধান মাড়াইয়ের কাজও চলছে পুরোদমে।
সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের শামীম হোসেন, গোপালপুর গ্রামের লিয়াকত আলী জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের সার্বিক ফলন নিয়ে কৃষকরা খুশি। ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ঘটনাও এবার কম ঘটেছে। যে কারণে পাকা ধানের ক্ষয়ক্ষতি খুব একটা হয়নি।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় মোট ৯০ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে জেলায় সর্বমোট ৯০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ৮৭৫ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৫ হাজার ৯৫৬ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৬ হাজার ৬৫ হেক্টর, মহেশপুরে ২১ হাজার ৮৬০ হেক্টর, শৈলকূপায় ১৩ হাজার ২১৮ হেক্টর ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় ৯ হাজার ৩০৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সার-কীটনাশকের স্বাভাবিক সরবরাহ এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তদারকির ফলে কৃষক ভালো ফলন পেয়েছেন। বৃষ্টিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষক কিছুটা বিড়ম্বনা হলেও তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।