বাসস
  ০১ মে ২০২৫, ১৭:২৮
আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ১৭:৩০

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান 

দিনাজপুর, ১ মে, ২০২৫ (বাসস) : জেলার বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ব্যাপক ও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার রাতে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার অভিযানের বিষয়ে বলেন, এনফোর্সমেন্ট অভিযানে দুদকের টিম ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির  অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযানের তথ্য শিগগিরই প্রতিবেদন আকারে দুদক সদর দপ্তরে পাঠানো হবে। সদর দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযানে যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। 

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দুদকের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যাথলজি বিভাগে সেবা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা অনেক কম। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দু’জনের রয়েছে নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভর্তিকৃত রোগীদের খাবার তালিকা অনুযায়ী মুরগির মাংসের জায়গায় রান্না করা হয়েছে নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে কম পরিমাপের মাছ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সজুড়ে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য। এমন সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযানে।

দুদকের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক কামরুন্নাহার সরকার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাইদুল ইসলাম। 

প্রাথমিক পর্যায়ে তারা সাদা পোশাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিষয়ের উপর নজরদারি রাখেন। এই সময় ওষুধ কোম্পানির একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ ও রোগীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে দেখে দালাল সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগ, এক্সরে বিভাগ, খাবারের মান ও খাবারের মেনু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা, পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ডসহ স্টোর রুমে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযানে প্রত্যেকটি বিভাগে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগের ২ জনের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহ্ আল এমরানের বাবার নামে রাজু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অপর একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট ইয়াসিন আলীর স্ত্রীর নামে নাজমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট পদে চাকরিরত অবস্থায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি-না এই বিষয়ে অবগত করতে বলেন।

রোগীদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও অনিয়ম পেয়েছেন। দেখা গেছে, মুরগির মাংসের জায়গায় কম পরিমাণে মাছ ও কম পরিমাণে মোটা চালের ভাত রান্না করা হয়েছে। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সুপারভাইজারকে শো’কজ করতে বলা হয়েছে বলে জানান দুদক অভিযান টিম। 

এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোররুমের আপডেট কোন তথ্য দুদক পায়নি। আপডেট তথ্য না থাকায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।