বাসস
  ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৫

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

যশোর, ১৪ নভেম্বর, ২০২১ (বাসস) : চলতি মওসুমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রযেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।এ মওসুমে ৬ জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪লাখ ৫১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমনের আবাদ হয়েছে ৪লাখ ৫৫ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩হাজার ৪শ’৮৯ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।ইতোমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।১৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ জমির আমন ধান কর্তন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।  
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা হচ্ছে-যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও মাগুরা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে যশোর জেলায় ১লাখ ২৮ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের, ৯হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের এবং ১হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।ঝিনাইদহ জেলায় ৯৬ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের, ৭হাজার ৬৫৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।মাগুরা জেলায় ৫০ হাজার ৫৩৮ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের, ১০হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের এবং ৯০২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।কুষ্টিয়া জেলায় ৭৭ হাজার ৩৩৮ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের, ১০হাজার ৪৭৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের এবং ১হাজার ৩৩ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩২ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের, ২হাজার ৬৩৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে এবং মেহেরপুর জেলায় ২৬ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,যশোর সদর উপজেলার, বাঘারপাড়া উপজেলার এবং মাগুরা সদর উপজেলার মাঠের পর মাঠ পাকা আমনের সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে।এ অঞ্চলের মাঠের পর মাঠ পাকা আমন ধানের সোনালী শীষের অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। পাকা আমন ধানের সোনালী শীষে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বেড়েছে তেমনি অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর কৃষাণ-কৃষাণীরা।  
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: জাহিদুল আমিন জানান,চলতি আমন মওসুমে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক সহজ শর্তে চাষিদের কৃষি ঋণ প্রদান করেছে। ধান ও চালের দাম ভালো থাকায় এ অঞ্চলে আমনের চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়