শিরোনাম
বরগুনা, ৩ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : জেলার আমতলী উপজেলায় ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। ভবন ধসের আশঙ্কায় থাকেন রোগীরাও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আমতলীতে ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এসব ক্লিনিকের মধ্যে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গেরাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, আমতলী সদর ইউনিয়নের কলংকো কমিউনিটি ক্লিনিক, হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা ও ছোনাউঠা কমিউনিটি ক্লিনিক, চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনসহ প্রায় ২০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। জরাজীর্ণ এসব ক্লিনিক ভবন ২৫ বছর আগে নির্মিত হয়। এরপর আর সংস্কার না করায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
অধিকাংশ ভবনের দেয়ালের চারপাশে ফাটল। ছাদের বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরা লোহার রড বেরিয়ে গেছে। পুরো ছাদ থেকে পলেস্তারা ও কংক্রিট খসে পড়েছে। মেঝের প্লাস্টার নষ্ট হয়ে ইটের খোয়ার ছোট ছোট টুকরো আর বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। চাওড়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা হাসিনা নামের এক রোগী জানান, স্বাস্থ্য কর্মীরা সেবায় আন্তরিক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারনে এখানে আসতে ভয় হয়। প্রসূতিরা তো সাহসই পায় না এ ক্লিনিকে আসতে।
চালিতাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি হাফিজা আক্তার বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নানা সমস্যার মধ্যে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বড় সমস্যা ঝুঁকির্পূর্ণ ভবন। কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। পশ্চিমচিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রাসেল মুন্সি বলেন, প্রতিদিনই ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন মাথায় পলেস্তারা খসে পড়ে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বারান্দায় বসে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আমতলীর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার জানিয়েছেন, কমিনিউটি ক্লিনিকের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ামাত্র ভবনগুলো সংস্কার করা হবে।