শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী নারীদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে ‘গ্রুপ কেয়ার’ মডেল ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সুস্থ মা, সুস্থ পরিবার’ প্রকল্পের একটি গবেষণা ফলাফল তুলে ধরে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রকল্পটি ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ, ব্র্যাক, স্কোপ এবং পপুলেশন কাউন্সিল যৌথভাবে বাস্তবায়ন করে।
সুস্থ মা, সুস্থ পরিবার’ প্রকল্পের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এ টি এম রেজাউল করিম গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। রেজাউল করিম বলেন,‘ প্রথমবার মা হতে যাওয়া নারীদের ওপর ‘গ্রুপ কেয়ার’ মডেলটি বাস্তবায়ন করে দেখা গেছে, তা মাতৃস্বাস্থ্য সচেতনতায় নারীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
প্রকল্প পরিচালক ডা. ফারজানা ইসলাম বলেন, গর্ভকালীন সময়টি প্রথমবার মা হওয়া অল্প বয়সী নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রকল্পটি পরীক্ষা করেছে কীভাবে গ্রুপ সেশন সেবা গ্রহণের হার, স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্রুপ কেয়ার মডেলটি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিগত চার বছর ধরে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটি গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সেবায় ‘গ্রুপ কেয়ার’ মডেলটি বিদ্যমান মাতৃস্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করার সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পে দেখা গেছে প্রথমবার মা হওয়া অল্প বয়সী নারী এবং তাদের পুরুষ সঙ্গীদের জন্য মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবাগ্রহণের হার এবং সেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই গ্রুপ কেয়ার মডেলটি স্থিতিশীল এবং সম্প্রসারণ করতে সরকারি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বিনিয়োগ ও গবেষণা দরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট'র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ডা. শেখ সায়েদুল হক বলেন, সুবিধা বঞ্চিত মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। যেটা বিদ্যমান প্রকল্পের ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্থ মা ও সুস্থ পরিবার প্রকল্পটি জাতীয় পর্যায়ে সরকারি খাতে ও গ্রামীণ পর্যায়ে রোল মডেল হিসাবে গ্রহণ করা দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্য অধিদফতর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ যৌথভাবে আয়োজন করে। সভায় সরকারি প্রতিনিধি, পেশাদার সংগঠন,উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।