বাগেরহাট, ২৫ মে, ২০২৪ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় “রেমাল” এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে দুপুরের পর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আতঙ্ক বাড়ছে জেলার নদী র্তীরবর্তি মানুষের মধ্যে।
জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতি মধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা করা হয়েছে। ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট জেলার ৩৫৯টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ত্রাণ বাবদ ৬৪৩ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপক’লীয় উপজেলা মোংলা মোরেলঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার, স্কাউট এর ৩ হাজার ৫০৫ জন, স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকুলীয় এই তিন উপজেলায় ঝড় সহনশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তত রাখা, শুকনো খাবার মজুদ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান, মোংলা বন্দরে ১ নম্বর সংকেত চললেও বন্দরে থাকা দেশি-বিদেশী জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সভা করেছে। এছাড়া রেমাল'র গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যাবেক্ষণের জন্য একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে হাড়বাড়িয়া এলাকায় ৬টি বিদেশী জাহাজ রয়েছে । এছাড়া নৌ-চ্যানেলটি নিরাপদ রাখতে সবধরনের নৌ-যানকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গর করে থাকতে বলা হয়েছে। 
বাগেরহাট পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মাদ আলবিরুনী জানান, জেলায় ১০ কিলোমিটার ভেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির কারনে দু'টি জায়গায় জরুরী সংস্কার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ণ বোর্ড । সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে । 
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও কাজী মো. নূরুল করিম জানান, সুন্দরবন বিভাগের সব বন কর্মীকে নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে । দেশী-বিদেশী সব পর্যাটককে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য বনবিভাগ সতর্কতা জারি করেছে।