বাসস
  ১৯ মে ২০২৪, ১৯:০৯

জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকান্ডে ইশরাক কারাগারে 

ঢাকা, ১৯ মে, ২০২৪ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকান্ডে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। 
আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ইসরাক হোসেন অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। আজ তিনি এ মামলাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। আদালত ১১টি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। অপর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকা-ে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
গত বছরের ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। 
মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীসহ হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়। 
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা, সরকারি গাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকা-ের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি মিয়া আরেফী, হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০জন নেতাকর্মী কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। এসময় ১ নম্বর আসামি মিয়া আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে ১ নম্বর আসামি মিয়া আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। 
এজাহারে বাদি আরও অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সোহরাওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন মিয়া আরেফীকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
এজাহারে বলা হয়, ওই সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ১ নম্বর আসামির বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়