ভোলা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বাসস) : জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুলার হাট থানা ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ২০২০ সালের প্রথম দিকে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ইতোমধ্যে ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রত্যেক অফিসারদের আলাদা আলাদা কক্ষ, সেবা প্রত্যাশীদের অভ্যার্থণা কক্ষ, নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য হেল্প ডেস্ক, নারী-পুরুষদের ভিন্ন ভিন্ন গারদখানা, পুলিশ সদস্যদের থাকার কক্ষসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকছে নতুন থানা ভবনটিতে। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি পুলিশের সার্বিক কার্যক্রমে বাড়তি গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন বাসস’কে জানান, দুলার হাট বাজার সংলগ্ন দুলার হাট-চরফ্যাসন সড়কের পাশে ৭ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিট জমির উপর স্থাপিত ভবনটির ৬ তলা ফাউন্ডেশন হলেও বর্তমানে ৪তলা বিশিষ্ট করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে গাঁথুনির কাজও শেষের দিকে। আগামী সপ্তাহে প্লাস্টারের কাজ শুরু হবে। মোট এক একর জমির উপর থানা চত্বরে বাউন্ডারী ওয়ালসহ আনুসাঙ্গিক কাজ রয়েছে। কাজের শতভাগ গুণগত মান বজায় রেখেই করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দুলার হাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো: মুরাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে দুলার হাট বাজারের পশ্চিম পাশে ৩ তলা ভাড়া বাড়িতে থানা পুলিশের কার্যক্রম চলছে। ভবনটি অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় পুলিশের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে কখোনো বেগ পেতে হয় । বিশেষ করে আসামীদের যেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে রাখা দরকার (হাজতখানা) সেভাবে রাখা যাচ্ছেনা। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এসব সমস্যার স্থায়ীভাবে সমাধান হবে।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার বাসস’কে বলেন, একটি থানায় পুলিশের সেবা দিতে যে সমস্ত সুবিধা দরকার, তা ভাড়া বাসায় হয়ে উঠেনা। বর্তমানে জেলার ১০ টি থানার মধ্যে ৯ টি থানাই নিজস্ব ভবনে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুলার হাট থানা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে সব থানাই নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ থেকে থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় দুলার হাটে। ভবনটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসামীদের নিরাপত্তাসহ পুলিশের সেবার মান আরো বাড়বে বলে এসপি মনে করেন।