বাসস
  ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৪

জয়পুরহাটে শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত ১ ও ২ আসনের প্রার্থীরা

জয়পুরহাট, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): আগামী ৭ জানয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে জয়পুরহাট ১ ও ২ আসনে  ১৫ জন পদপ্রার্থী  শেষ সময়ের প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।  ১ আসনের জন্য ৭ জন  ও  ২ আসনের জন্য ৮ জন প্রার্থী  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।    
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী  জানান, জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসন গঠিত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিীত করছেন ৭ জন প্রার্থী। জয়পুরহাট-১ আসনে  ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী  সামসুল আলম দুদু (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: রুকুনুজ্জামান (আম), জাতীয় পার্টির একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন (লাঙ্গল), তৃণমুল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো: মাসুম (সোনালী আঁশ ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু ( ট্রাক), আব্দুল আজিজ মোল্লা (কাঁচি) এবং জহুরুল ইসলাম (ঈগল)। জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত।  এখানে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী।  জয়পুরহাট-২ আসনের  ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন  আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ( নৌকা ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু সাঈদ  (আম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আবুল খায়ের মো: সাখাওয়াত হোসেন (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো: নয়ন (ডাব) , জাতীয় পার্টির আবু সাঈদ নুরুল্লাহ  (লাঙ্গল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক সরদার  (ঈগল), আতোয়ার রহমান (ট্রাক) ও গোলাম মাহফুজ চৌধুরী  অবসর (কাঁচি) ।  তপসিল অনুযায়ী  প্রার্থীরা  নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন  ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত।  ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়াির’ ২০২৪। প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাচ্ছেন কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনের জন্য দুটি পৃথক  নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কাজ করছে এবং  নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সহযোগিতায়  অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযাগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে  জানান, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। অপরদিকে,  সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃংখলা রক্ষায় মাঠে পর্যায়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও  বিজিবি সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে  পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে এবং সাদা পোশাকে ডিএসবির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  পুলিশ ও র‌্যাবের ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে বলেও জানান তিনি।   

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়