বাসস
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮

বগুড়া মুক্ত দিবস আজ ১৩ ডিসেম্বর

বগুড়া, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বগুড়া মুক্ত দিবস আজ ১৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের  এ  দিনে বগুড়ায় তখন দিন শেষে  সন্ধ্যা। শহরের বাতাসে পোড়া মাটির ও বারুদ্ধে গন্ধ। জনমানব শূন্য বগুড়ার রাজপথ ।  বগুড়া শহরের উপকন্ঠে শাজাহানপুরে ১৩ ডিসেম্বরের আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মরণ কামড় দিয়েছিল। আকাশে মিত্র বাহিনী বোমারু বিমান, মাটিতে মুক্তিবাহিনী  ও মিত্র বাহিনীর অভিযানে দিশাহারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে।  কথা গুলো বলছিলেন সম্মুখ সমরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর রহমান ও বদরুল আলম  আক্ষেপ করে বলেন ১৩ ডিসেম্বর  বগুড়া হানাদর মুক্ত হলে আজও বগুড়ায় হানাদর মুক্ত দিবস পালিত হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুর রহমান জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে তারা দেশকে শত্রু মুক্ত করতে যুদ্ধে ঁঝাপিয়ে পড়েন। কিন্তু এখনও এ দেশকে নিয়ে রাজাকার আলবদর বাহিনীর দোষররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন কোন সরকার সেই সম্মান টুকুও দেননি।
তুমুল লড়াইয়ের পর ১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত বগুড়া শহরে বারুদের গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছিল । বীর মুক্তিদযোদ্ধা  সবুর সওদাগরের দলের   জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন এমন দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধার এক জন সাবেক ব্যাংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মনজুর রহমান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম মুন্নু জানান ৭১’র  ১৩ ডিসেম্বর জেলার শাজাহানপুরের ফটকি ব্রীজের অদুরে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে মিত্রবাহীনির মধ্যে  তুমুল লড়াইয়ের পর সেখানে শতাধিত হানাদার বাহিনী নিহত হয়।   তখন সূর্য গড়িয়ে পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ছে। হানদার বাহিনী  বগুড়া ছেড়ে পালিয়ে যায়।  মুক্ত হয় বগুড়া শহরে । বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, তারা ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের প্রবেশ করতে চাইলে মিত্রবাহিনী সৈন্যরা  তাদের বারণ করেন। তারা জানান  মিত্র বাহিনী মনে করেছিলেন হানদার বাহিনী  ১৩ ডিসেম্বর পালিয়ে যাবার সময় শহরের  বিভিন্ন স্থানে স্থল মাইন পুঁতে রাখতে পারে তাতে প্রাণহানী ঘটতে পারে। মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর  ভেরে বগুড়া শহরে প্রবেশ করেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়