বাসস
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩৯

জয়পুরহাটে শস্য বিন্যাস কর্মসূচিতে মালচিং ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে

জয়পুরহাট, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বাসস) : শস্য বিন্যাস কর্মসূিচর আওতায় সবজি উৎপাদনে জয়পুরহাটে মালচিং ও মাচার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত গোপালপুর গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কৃষকরা একই জমিতে মালচিং ব্যবহার করে একাধিক ফসল চাষ করছেন। এতে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় লাভ বেশি থাকে। গোপালপুর গ্রামের কৃষক রাজু হোসেন জানান, একই জমিতে পরপর দু’বার তরমুজ চাষের পর ওই একই মালচিং ও মাচা ব্যবহার করে শসা চাষ করছেন ৪০ শতাংশ জমিতে। সবজি চাষে মালচিং ব্যবহারের ফলে মাটির আদ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি জমিতে আগাছা কম হয় এবং  জমির পরিচর্যায় তেমন লেবারের প্রয়োজন হয়না। ফসল উৎপাদনে খরচ কমে যাওয়ায় এতে লাভ থাকে বেশি। এ কারণে সবজি চাষে মালচিং ও মাচা ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামকে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের গ্রাম ঘোষণা করে কৃষকদের কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’। জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন বলেন, জমিতে মালচিং ও মাচা ব্যবহার করে সবজি চাষ করায় উৎপাদন খরচ কম পড়ে। এতে লাভবান হন কৃষকরা। আবার মাটির আদ্রতা ভালো থাকে, আগাছা কম হয়। যার কারণে মালচিং ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায় গোপালপুর গ্রামে প্রায় ৪০ বিঘা জমি নিয়ে এবার শস্য বিন্যাস কর্মসূচির আওতায় নিরাপদ সবজি গ্রাম গড়ে তোলার কাজ চলছে। বর্তমান সরকার নিরাপদ সবজি উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। সে কারণে সরকারের ঘোষণা বাস্তবায়নে গোপালপুরগ্রামের কৃষকদের নিরাপদ সবজি উৎপাদনে  কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে ’জাকস ফাউন্ডেশন’।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়