বাসস
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৫১

বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন

সংসদ ভবন, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদে আজ বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন। 
বিলটি উত্থাপনকালে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দ্য ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স,’ ১৯৬১ সালের ২ ডিসেম্বর ইংরেজিতে প্রণীত হয়। সামরিক শাসনামলে এই অধ্যাদেশের কতিপয় ধারা ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ তারিখের গেজেটে দ্য ট্রেড অর্গানাইজেশন (অ্যামেন্ডম্যান্ট) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪-এর মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। দেশের ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতসহ সার্বিক অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাণিজ্য সংগঠনসমূহের ভূমিকা, কার্যক্রম, শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতা সুসংহতকরণ এবং চাহিদা পূরণকল্পে দ্য ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১-কে রহিত করে যুগোপযোগীভাবে বাংলায় ১৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ প্রণয়ন করা হয়। আইনটি যুগোপযোগী করার লক্ষে বাস্তব প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রণয়নের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আইনটির কতিপয় ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো-বাণিজ্যিক কার্যাবলী সহজীকরণ, ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সংগঠনে অধিকতর সম্পৃক্ততা সৃষ্টির জন্য মহাপরিচালকের স্বীয় বিবেচনার প্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের বিষয়টি অনুমোদনের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। তাই বাণিজ্য সংগঠনের নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে ধারা ৯(২) সংশোধন করে পরিমার্জন করা হয়েছে।
১০(২) ধারায় ভাষাগত জটিলতা থাকায় তা পরিহার করে অর্থ অবিকৃত রেখে ধারাটির বাক্যসমূহ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। অনিবার্য কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনূর্ধ্ব ১ বছর সময় পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ধারা ১৪ সংশোধন করে বাণিজ্য সংগঠনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থতায় সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত ৬ মাস সময় মঞ্জুরের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
জয়েন্ট ট্রেড ওয়ার্কিং কমিটি’র কাজ অধিকতর সূচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ধারা ১৯(১) সংশোধন করে জয়েন্ট ট্রেড ওয়ার্কিং কমিটি’ বা ‘জেটিডব্লিউসি’ গঠনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উপযুক্ত কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত করণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
পরে বাণিজ্য মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়