নাটোর, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বাসস) : সুস্থ জাতি গঠনে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে জেলায় ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির পরিধি বাড়ছে। চলতি অর্থ বছরে ৬৭০ জনকে নতুন করে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। একই সাথে সরকারের প্রদত্ত এ সহায়তা দুই বছর থেকে বৃদ্ধি করে তিন বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হবে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিগত দুইটি অর্থবছরে জেলায় মোট এক হাজার ৪৯ জন উপকারভোগী মা কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। চলতি অর্থ বছরে আর্থিক সহায়তার আওতা বৃদ্ধির জন্য জেলার সাতটি পৌরসভায় উপকারভোগী মায়েদের আবেদন গ্রহণের কাজ চলছে। শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মোট ৬৭০জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।
৬৭০জনের মধ্যে নাটোর পৌরসভা এলাকায় সর্বাধিক ৪৫১জন এবং অবশিষ্ট ২১৯ জন গুরুদাসপুর, সিংড়া, বনপাড়া, বড়াইগ্রাম, বাগাতিপাড়া ও নলডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার। বিগত সময়ে উপকারভোগী মায়েরা দুই বছর ধরে প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে পেলেও চলতি অর্থ বছরে ভাতা গ্রহীতাগণ তিন বছর ধরে এ সহায়তা পাবেন।
নাটোর পৌরসভায় ম্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির আবেদন গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডভিত্তিক ডেস্ক বিভাজন করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী আবেদনকারী মায়েদের তিন কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব সনদ, এলাকার বাসিন্দা প্রমাণে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন, অন্য কোন সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণ করেন না মর্মে মেয়রের প্রত্যয়ন, স্বাস্থ্য কার্ড, শিশুর জন্ম নিবন্ধন কাগজ সংযুক্তি সহযোগে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান আবেদন গ্রহীতা নাটোর পৌরসভার কর আদায়কারী জুলফিকুল হায়দার বাবু।
নাটোর পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মির্জা সালাহ্উদ্দিন জানান, বিগত সময়ে নাটোর পৌর এলাকার ৯৫০জন মা সরকারের র্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির সহায়তা পাচ্ছেন।
নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, সরকারি বিধি অনুসরণ করে পৌরসভা আবেদন গ্রহন করছে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ওয়ার্ডভিত্তিক ৪৫১ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন বাসস’কে বলেন, সুস্থ জাতি গঠনে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকার ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী ও সময় বৃদ্ধি করেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এবং মাসের উপার্জন পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে-এমন মায়েরাই এ কর্মসূিচর সুবিধা পাবেন। পৌরসভার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ সরকারি বিধি অনুসরণ করে উপকারভোগীদের নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা।