শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আনিছ আহম্মেদ নীল (৩৫) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া, ভিকটিমকে অপহরণের অভিযোগে তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার রাশেদুল ইসলাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে আসামি আনিছ আহম্মেদ নীলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতেন। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুরে ভিকটিম বাসা থেকে কোচিং করতে আজিমপুরের উদ্দেশ্যে বের হন। কোচিং শেষে বাসায় ফিরে না আসায় তার বাবা তাকে খুঁজতে আজিমপুর গিয়ে কোচিং শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম কোচিংয়ে যায়নি বলে জানান।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কয়েকজন বাদীকে জানান যে, তার মেয়ে বাসা থেকে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার বড়গ্রাম চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে আসামি আনিছ আহম্মেদ নীলসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন তার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দিনাজপুর জেলা থেকে ভিকটিমসহ আসামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আসামি নীলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৭/৯(১) ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালে নয়জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।