শিরোনাম
পলিয়ার ওয়াহিদ
ঢাকা, ৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল রক্তাক্ত এক ইতিহাস। ফ্যাসিস্ট সরকার যখন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করছিল তখন সাধারণ মানুষ সহ্য করতে পারেনি। তারাও ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেন। শহীদ ও গাজিদের রক্তই জুলাইকে সফল করেছে। কথাগুলো বলছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা যারা মাঠে ছিলাম, তার চেয়ে বেশি মানুষ ঘরে বসেও আমাদের সঙ্গে ছিল। যা আমাদের উজ্জীবিত করেছে। বৃষ্টির ভেতর তর্জনী তুলে দুই নারী শিক্ষার্থীর স্লোগানের ছবি এই আন্দোলনের অন্যতম আইকনিক ছবি। যা আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
আসাদুল্লাহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে অনলাইনে লেখালেখি করেন তিনি। আবু সাঈদের মৃত্যু তাকে মাঠে টেনে আনে। দিনে আন্দোলন, রাতে আওয়ামী ন্যারেটিভের জবাব ও পাল্টা ন্যারেটিভ তৈরির লড়াই করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। জুলাই আকাঙ্ক্ষায় জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সামলাচ্ছেন সংগঠনটির প্রেস উইংও।
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ ৭ অক্টোবর ১৯৯১ সালে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আকমল হোসেন শিকদার ও মা বেগম হাসিনা আকমল। শৈশব থেকে লেখালেখি করেন। পড়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ। সাংবাদিকতায় স্নাতক শুরুর আগে থেকেই তিনি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত হন। পনেরো বছরের লেখালেখি ও দশ বছরের সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার তার। লিখেছেন চারটি গল্পগ্রন্থ ও তিনটি উপন্যাস। ছোটবেলা থেকে রাজনীতি সচেতন ছিলেন কথাসাহিত্যিক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ আয়োজন ‘জুলাই জাগরণ’ এর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
বাসস : প্রথমে জানতে চাই জুলাই আন্দোলনে কেন এবং কোন আকাঙ্ক্ষা থেকে রাজপথে নেমেছিলেন?
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ : রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসেবে আমার আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার ইতিহাস অনেক পুরোনো। ২০০৬ সালে চারদলীয় জোটের প্রায় সব আয়োজনে মাঠে ছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে- তখন জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছিল। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট আন্দোলন করছিল তফশিল ঘোষণার দাবিতে। তফশিল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পল্টন মোড়ে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় জোটের পক্ষ থেকে। আমি তখন দিনরাত মাঠে ছিলাম। ২০১৩ সালে বেগম জিয়ার মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে মাঠে ছিলাম। মাঠে ছিলাম ২০১৭ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে। ২০১৫ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটমুক্ত আন্দোলনে মিরপুর-১ এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম।
আমি ভোটার হয়েছি ২০০৯ সালে। আজ পর্যন্ত ভোট দিতে পারিনি। মূলত, ভোটাধিকার অর্জন ও স্বৈরাচারবিরোধী অবস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের মাঠে নেমেছিলাম।
বাসস : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। জুলাইয়ের সেই সংগ্রামী সময়ের স্মৃতি কতটা অনুভব করেন?
মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ : জুলাইয়ের স্মৃতি কোনোদিন ভুলব না। এখনো মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ ও আহতদের আর্তনাদ কানে ভাসে। রাতে দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয় টিয়ারশেলের ঝাঁঝে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল রক্তাক্ত এক ইতিহাস। ফ্যাসিস্ট খুনি সরকার যখন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করছিল তখন সাধারণ মানুষ সহ্য করতে পারেনি। তারাও ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেন। শহীদ ও গাজিদের রক্তই জুলাইকে সফল করেছে।
বাসস : আপনি একজন লেখক। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কবি লেখক শিল্পীদের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলেন।
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলন না। প্রায় সব আন্দোলনেই কবি-সাহিত্যিকরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল থাকে অন্যায়ের পক্ষে। আরেকদল বিপক্ষে। তৃতীয় দল থাকে চুপচাপ। আন্দোলন থেমে গেলে জিতে যাওয়াদের পক্ষে ছড়া কবিতা লিখতে শুরু করে। এই আন্দোলনের পক্ষেও অনেক কবি-সাহিত্যিক দুর্দান্ত সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। আবার লোভে ভেজা জিহ্বা নিয়ে অনেককে লেহন করতে দেখেছি সরকারকে। বাকিরা চুপ ছিলেন। এখন বিপ্লবী সেজে আছেন।
বাসস : আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন জুলাইয়ের কত তারিখে এবং কোথায়?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : জুলাইয়ের ১৭ তারিখ প্রথম মাঠে নামি। আবু সাইদ শহীদ হওয়ার পর আমি আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। নিজে যেহেতু সাংবাদিক মাঠে সরেজমিনে রক্ত দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। মূলত আমি নিজেও একজন আবু সাঈদ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলাম। নিরীহ নিরস্ত্র বন্ধুদের মৃত্যু দেখে ঘরে থাকার উপায় ছিল না। তবে তার আগ পর্যন্ত ঘরে বসে অনলাইনে আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে লেখালেখি করছিলাম।
বাসস : আন্দোলনে আপনার সামনে কেউ শহীদ হয়েছে এমন কোনো স্মৃতি থাকলে শুনতে চাই।
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : ৩৫ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ১৩ নম্বরের দিকে পিছিয়ে গিয়েছি। টিয়ারশেলের ঝাঁঝ থেকে বাঁচতে পত্রিকাসহ অনেক কিছু একত্রিত করে আগুন জ্বালানো হয়েছে। কেউ চোখে ভালো মতো দেখতে পাচ্ছি না। হঠাৎ ওপর দিক থেকে গুলির আওয়াজ এলো। তাকিয়ে দেখি পাশে একটা ছেলে পড়ে গেছে। মাথার চারপাশ রক্তে ভেজা। পরে জেনেছি ছেলেটার নাম পারভেজ। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেন তিনি। আরও কতজনকে আহত হতে দেখলাম তার হিসাব দেওয়া অসম্ভব। তাদের কতজন শহীদ হয়েছেন সেই খবরও তো আমরা নিতে পারিনি। ইন্টারনেট বন্ধ করে আমার ভাইদের আমার বন্ধুদের নির্মমভাবে নিষ্ঠুর পিশাচের মতো মেরেছে। ন্যূনতম মানবিক মানুষ কখনো এটা করতে পারবে না। খুনি হাসিনা শুধু আমাদের অর্থনীতি লুটপাট করেনি। সেই সঙ্গে আমাদের পুলিশ, র্যাব, বিডিআরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে নৈতিকভাবে ধ্বংস করেছে।
বাসস : আন্দোলন দমনে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকাকে কীভাবে দেখেন?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : আগেই তো বললাম বিগত ১৭ বছর পুলিশ বাহিনীকে এমন এক জায়গায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলতে কিছু ছিল না। পুলিশ একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আবু সাইদকে গুলি করা পুলিশের কথাই ধরুন না? চাইলে সে পায়ে গুলি করতে পারতো। কিন্তু সে বন্দুক তাক করেছে সোজা বুকে।
বাসস : জুলাইযোদ্ধা হিসেবে ১ দফা ঘোষণার আগে কি বুঝতে পেরেছিলেন হাসিনা পালিয়ে যাবে?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলনে সংহতি জানানোর পাশাপাশি রাস্তায় নেমে গুলি খাওয়ার পর পরিচিতদের বলতাম, এবার হাসিনা শেষ। এতদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মেরেছে। এখন প্রাইভেটের ছাত্রদের মারছে। ব্রাক, এনএসইউতে কারা পড়ে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমলা, কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা। তাদের ওপর গুলি এসব কর্মকর্তা ভালোভাবে নেবে না। তারা একটু নিষ্ক্রিয় হলেই হাসিনা পড়ে যাবে। হয়েছেও তাই। অর্থাৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ নায়ক। কিন্তু তাদের অবহেলা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটা অপূর্ব সুযোগ ছিল তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় করার। তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আরেক ধরনের মাত্রা যোগ হতো।
বাসস : ৩৬ জুলাই কোথায় আন্দোলন করেন? হাসিনা পালানোর খবর কখন কার মাধ্যমে পান? সেই অনুভূতি কেমন ছিল?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : আমার বাসা ছিল মিরপুর স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটের সামনে। বাসা থেকে বের হলেই ২ নম্বর গোল চত্বর। তারপরেই থানা। ৩৬ জুলাই বাসা থেকে বের হওয়াই কঠিন ছিল। স্টেডিয়ামের সামনের পুরো এলাকা পুলিশ অবস্থান নেয়। বাসার একটু সামনেই কাঁটাতার বিছিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাসা থেকে বের হয়ে লাভ রোডের মন্দিরের সামনে দিয়ে ১ নম্বরের দিকে গিয়ে ৬০ ফিটের রাস্তায় উঠি। ৬০ ফিটের ভেতর দিয়ে কাজীপাড়া মেইন রোডে উঠতে গিয়ে দেখি পুরো রাস্তা পুলিশ আর লীগের দখলে। আরেকটু সামনে গিয়ে কাজীপাড়া আর শেওড়াপাড়ার মাঝামাঝি ওভার ব্রিজের ওপর উঠে অপেক্ষা করতে থাকি। সকাল নয়টা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষার পর মোবাইলে জুম করে দেখি পুলিশ ও লীগের মাস্তানরা চলে গেছে। তখন ১০ নম্বরের দিকে আগানোর জন্য রওনা দিতেই দেখি হাজার হাজার মানুষের মিছিল মিরপুর থেকে আগারগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছে। দূর থেকে বোঝার উপায় ছিল না এটি কাদের মিছিল। আবার গিয়ে ওভার ব্রিজের ওপর উঠি। একটার পরে মিছিল কাছে আসলে সবার মাথায় পতাকা বাঁধা দেখে বুঝতে পারি এটা আমাদেরই মিছিল। ততক্ষণে আমি খবর পেয়েছি হাসিনা পদত্যাগ করবে। কিন্তু যাকেই বলছিলাম, কেউ বিশ্বাস করছিল না। ফলে আমারও আত্মবিশ্বাস কমে যায়। মিছিলের সামনে বাইক নিয়ে আগাতে থাকি। আগারগাঁও মোড় পর্যন্ত বিনা বাধায় চলে আসি। এরপর দেখি বিজিবি আমাদের পানি দিচ্ছে। তখন বিশ্বাস করতে শুরু করলাম হাসিনা আর থাকছে না। এরপর বাইক নিয়ে ফার্মগেটের দিকে রওনা দিয়ে বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারি। আমাদের মোড়ের কাছে আটকে দেয়। এরপর দেখলাম গণভবন থেকে সারি সারি কালো গাড়ি বের হচ্ছে। ছাত্র-জনতা যে যা পারছে তাই দিয়ে ঢিল মারছে গাড়িতে।
বাসস : আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা তো নতুন কিছু ছিল না। তারা বিগত ১৬ বছর প্রতিটি আন্দোলনে হামলা করেছে। ফলে আমরা এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম। কিন্তু তরুণরা এটা মেনে নিতে পারেনি। তারা হয়তো ভেবেছিল, আর কত?
বাসস : আপনি সাংবাদিকতা করেন। আন্দোলনের সময় সাংবাদিকের চোখে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কেমন ছিল?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : আমি বেশিরভাগ মিরপুর এলাকায় আন্দোলন করেছি। এখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না। তবে আমরা যখনই পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গলিতে ঢুকে যেতাম। আশপাশের বাসা থেকে পানি, শুকনো খাবার, চকলেট, মোমবাতি, পেপার ইত্যাদি ছুঁড়ে ফেলত। আমরা যারা মাঠে ছিলাম তার চেয়ে বেশি মানুষ ঘরে বসেও আমাদের সঙ্গে ছিল। যা আমাদের উজ্জীবিত করেছে। এছাড়াও বৃষ্টির ভেতর তর্জনী তুলে দুই নারী শিক্ষার্থীর স্লোগানের ছবি এই আন্দোলনের অন্যতম আইকনিক ছবি, যা আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাসস : আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আপনি কি ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : ৩৩ জুলাই একজন লেখক বড় ভাই হঠাৎ করে আমার ইনবক্সে ২০-২৫টি ছবি পাঠালেন। আমি ওপেন করে দেখি জুলাই জুড়ে আন্দোলনের পক্ষে যতগুলো পোস্ট দিয়েছি সব পোস্টের স্ক্রিনশট। তিনি আর কিছু লেখেননি। নিঃশব্দ হুমকি দিয়ে গেলেন শুধু। তবে আমি ঢাকায় আন্দোলনে আছি এবং ছাত্র-জনতার পক্ষে লিখছি এই কথা গ্রামের মানুষ জেনে যায়। গ্রামের অনেকেই আমার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল। তারা পোস্ট দিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমার পরিচিত জনদের হুমকি দিয়েছে। ৩৬ জুলাই সফল না হলে তারা কি করতো ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।
বাসস : আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য আপনি কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন?
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ : আহতদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা কিংবা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে ছিলেন। আমাকে যারা জানিয়েছেন, তাদের স্থানীয় প্রশাসন এবং আহতদের নিয়ে কাজ করা সংগঠকদের সঙ্গে ট্যাগ করিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ আমার হয়নি।