বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৩

সিলেটে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালনকালে ছিলো পুলিশের বাধা-গ্রেফতার

১ আগস্ট শহীদ ও আহতদের স্মরণে সিলেটে শিক্ষার্থীরা ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালন করে। ছবি: বাসস

সিলেট, ১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : গত বছরের আজকের দিনে সিলেটে শহীদ ও আহতদের স্মরণে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালনকালে ছিলো পুলিশের বাধা, ঘটেছে গ্রেফতারের মতো ঘটনা।

৩২ জুলাই (ক্যালেন্ডারে ১ আগস্ট, ২০২৪) সারাদেশের মতো সিলেটেও চলছিল ৯ দফা দাবিতে ডাকা কর্মসূচি। সেদিন ছিলো শহীদ ও আহতদের স্মরণে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি। বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ফটকের অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশের এলাকা সুরমা আবাসিকের সামনে জড়ো হয়ে ফের কর্মসূচি পালন শুরু হয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তপোবন থেকে শুরু করে সুরমা আবাসিক এলাকা পর্যন্ত প্রধান সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শাবিপ্রবি ছাড়াও যোগ দেন সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয় মানববন্ধন।

মধ্য জুলাই থেকে তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-নিপীড়নে সিলেট হয়ে ওঠে আতঙ্কের নগরে। ১৮ জুলাই শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রুদ্র সেন ও ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব।  ৩১ জুলাই ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় পরদিনের জন্য ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এই রাতে শাবিপ্রবি ও তার আশেপাশের এলাকায় পুলিশের ব্লকরেইড অব্যাহত থাকে। নেহারীপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয় শাবিপ্রবি’র তিন শিক্ষার্থীকে। পরদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক জালালাবাদ থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন।

সেদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাবিপ্রবি’র অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সল হোসেন বলেন, ‘আমরা পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে গেলে পুলিশ আমাদের লাঠিচার্জ-ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আমরা সুরমা আবাসিক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলে আমাদের কর্মসূচি পালন করেছি।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে অবস্থান করেন শিক্ষকদের একাংশ।

একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ, দেয়াল ও সড়ক লিখনের মাধ্যমে রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনকে জোরালো করে।