শিরোনাম
সিলেট, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : গত বছরের ২১ জুলাই কোটা নিয়ে আপিলের নতুন আদেশ হলেও সিলেটে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। কারফিউয়ের মধ্যে সিলেটে নাগরিক চলাচল সীমিত ছিল। সড়কে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়।
এদিকে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে সাত সাংবাদিক সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
১৯ জুলাই দিনগত রাত থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী কারফিউ ২০ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত শিথিল ছিল। ২১ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে শিথিল রাখা হয়। এই সময় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিলেটের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের ব্যানারে সাত সংগঠনের পক্ষ থেকে তুরাব হত্যার প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই সময় সাংবাদিক নেতারা ১৯ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে গুলি করে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যকে দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ার দেয়।
এইদিন উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল শুনানির জন্য ধার্যকৃত দিন হওয়ায় সকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ ছিল। দুপুরে সাত শতাংশ কোটা রেখে ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগে আপিল বিভাগের নির্দেশনার আদেশের খবর আসে।
অনেকে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসায় আন্দোলন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যাবেন এমনটা মনে করেন। অনেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে সরকার দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মমতায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর আন্দোলন স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়।
আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে দেশব্যাপী শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
আদালতের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আদালতের রায়ের সঙ্গে আন্দোলনের সম্পর্ক নেই। দাবি ছিল নির্বাহী বিভাগের ওপর। এই সময় তিনি বলেন, তিন শর্তে আলোচনায় বসবে শিক্ষার্থীরা। শর্তগুলো হলো- ইন্টারনেট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া ও আন্দোলনকারী যে সব শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দিতে হবে।
এছাড়া এই দিন রাতে সিলেট নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। কারফিউ চলমান থাকায় এদিন রাতে কোথাও আর সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।