শিরোনাম

ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার তলদেশে ৫০০ মিলিয়ন হেক্টর এলাকায় কূপ খননের পরিকল্পনা করছে। এ পদক্ষেপ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হচ্ছে, যখন মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতায় ওয়াশিংটন উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে ক্রমশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়র ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, অফশোর ড্রিলিংয়ের ৩৪ টি লিজ দেওয়া হবে। এতে ১.২৭ বিলিয়ন একর (৫০০ মিলিয়ন হেক্টর) এলাকায় খননের অনুমতি দেওয়া হবে, যার আয়তন প্রায় আমাজন বনের সমান।
প্রস্তাবে আলাস্কার উত্তর উপকূলের জলসীমা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে আগে কখনো খনন হয়নি। এছাড়া রয়েছে মেক্সিকো উপসাগর, যা প্রশাসন ‘গালফ অব আমেরিকা’ বলে অভিহিত করছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় জলসীমায়ও খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
সেক্রেটারি অব ইন্টেরিয়র ডগ বারগাম বলেন, বাইডেন প্রশাসন সমুদ্রতীরবর্তী তেল ও গ্যাস লিজিং বন্ধ করে দিয়েছে এবং আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদি অফশোর উৎপাদনকে পঙ্গু করেছে।
বারগাম জোর দিয়ে বলেন, অফশোর জ্বালানি উৎপাদনে প্রচুর সময় ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ট্রাম্প প্রায়ই বলেন, আমেরিকার আরও জীবাশ্ম জ্বালানি খনন করা প্রয়োজন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে বৈশ্বিক পরিবর্তনকে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি প্রায়ই জলবায়ু পরিবর্তনের বৈজ্ঞানিক ধারণাকে ‘ধোঁকাবাজি’ বলেন।
তার প্রেসিডেন্সির অধীনে দেশটি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে এসেছে এবং চলমান ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি পাঠায়নি।
তবে বৃহস্পতিবার ঘোষিত পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার সরকার রাজ্যের উপকূলীয় জলসীমায় খনন বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।