বাসস
  ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩২

মেক্সিকোতে নারী নির্যাতন রোধে প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের পদক্ষেপ

ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম গতকাল বৃহস্পতিবার যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সারা দেশে এক প্রচারণা শুরু করেছেন। 

এক ব্যক্তি তাকে স্পর্শ করার মর্মান্তিক ভিডিওটি ব্যাপকভাবে প্রকাশের পর  বিষয়টি আলোচনায় আসে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

দেশটির প্রথম এই নারী নেত্রী মেক্সিকোজুড়ে যৌন নির্যাতনের জন্য কারাদণ্ড নিশ্চিত করার ও নারীদের পুলিশের নিকট ঘটনা রিপোর্ট করতে উৎসাহিত করার জন্য একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।

গত মঙ্গলবার ৬৩ বছর বয়সী এই প্রকৌশলবিদ মেক্সিকো সিটির একটি রাস্তায় হাঁটার সময় আক্রান্ত হন। 

এক ব্যক্তি তার কাঁধে হাত রাখেন ও স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে করেন।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষী দ্রুত এগিয়ে এসে লোকটিকে সরিয়ে দেন। 

লোকটিকে তখন মদ্যপ মনে হচ্ছিল।

ঘটনাটি আশেপাশের বহু লোকের মোবাইলে ধারণ করা হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 

এতে শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়, যা মেক্সিকোর নারীরা প্রতিদিন যে হয়রানি ও বিপদের মুখোমুখি হন, তা স্পষ্ট করে তুলে ধরে।

শেইনবাউম জানান, তিনি প্রথমে ঘটনাটির গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। তবে  তিনি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যাতে অন্য মেক্সিকান নারীরা নিজেদেরকে একা মনে না করেন।

পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি একই দিনে আরও দুই নারীর ওপরও আক্রমণ করেছেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম দেশের ৩২টি রাজ্যে যৌন হয়রানি ও নির্যাতন সংক্রান্ত আইনের  পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, মেক্সিকোর প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও মেয়ে (১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী) জীবনের কোনো না কোনো সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হন।

২৩ বছর বয়সী দন্ত চিকিৎসা শিক্ষার্থী ইউনুয়ে ভালেরা এএফপিকে বলেন, ‘আমার মনে হয় মেক্সিকোর প্রতিটি নারীই কোনো না কোনোভাবে এমন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আমি এমন কাউকে চিনি না, যে কখনও এ ধরনের হয়রানির শিকার হননি। মেট্রোতে, রাস্তায়, গণপরিবহনে, বাড়ি ফেরার পথে ও দোকানে— সর্বত্রই এটা ঘটে।

আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনা এখানে খুবই স্বাভাবিক কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

অনেকে শেইনবাউমের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, অভিযোগের পর পুলিশ বা প্রশাসন সত্যিই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে কি-না, তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে ভুক্তভোগীদের পাশে থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ জানানোর এমন একটি ‘দ্রুত ও কার্যকর’ ব্যবস্থা থাকা দরকার, ‘যা সত্যিকারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।’

তবে তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।