বাসস
  ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৪

ভুয়া ভিডিও ঠেকাতে এআই নিয়ম কঠোর করার পরিকল্পনা ভারতের

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে ভুল তথ্য এবং ভুয়া (ডিপফেক) ভিডিওর সম্প্রচার রোধ করার লক্ষ্যে ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপক নতুন নিয়মকানুন প্রস্তাব করেছে।

ডিপফেক হচ্ছে— ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কোন ব্যক্তির মুখ, কণ্ঠ ও শরীরকে পরিবর্তন করে অন্য কোন ব্যক্তির মত করে তৈরি করা ভিডিও।

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘কৃত্রিম মিডিয়া তৈরি বা তৈরির জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার’— উল্লেখ করে প্রস্তাবিত সংশোধনী ঘোষণা করেছে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

বুধবার রাতে জারি করা মন্ত্রণালয়ের একটি ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক ডিপফেক অডিও, ভিডিও ও সিন্থেটিক মিডিয়া সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়ার ঘটনাগুলো প্রমাণ করেছে যে জেনারেটিভ এআই বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের বিষয়বস্তু ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার, সুনাম নষ্ট করার ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’

ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া অনুসারে, ভারতে ৯০ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। চীনে আরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য ভারত অধিকতর উন্মুক্ত।

সরকার ইতোমধ্যেই ‘সহযোগ’ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। হিন্দি ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে- ‘সহযোগিতা’। এর লক্ষ্য হল এক্স ও ফেসবুক-এর মতো কন্টেন্ট মধ্যস্থতাকারীদের কাছে সরকারি নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করা।

এই প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো লেবেলিং, ট্রেসেবিলিটি ও জবাবদিহিতার জন্য একটি স্পষ্ট আইনি ভিত্তি প্রদান করবে।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে প্রধান এআই সংস্থাগুলো চলতি বছর দেশটিতে এআই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের বিষয়ে ঘোষণার ঝড় তুলেছে।

চলতি মাসে মার্কিন স্টার্টআপ অ্যানথ্রপিক জানিয়েছে, তারা ভারতে একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী দারিও আমোদেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা ভারতে একটি অফিস খুলবে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, দেশটিতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার গত বছরের তুলনায় চারগুণ বেড়েছে।