শিরোনাম
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র কলম্বিয়াকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করছে। কারণ, তিনি কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে মাদক উৎপাদনে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প বলেছেন, বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহৎ পরিসরে অর্থ প্রদান এবং ভর্তুকি’ সত্ত্বেও কোকেন উৎপাদন বন্ধে কিছুই করছেন না।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘আজ থেকে কলম্বিয়াকে এই অর্থ প্রদান বা অন্য কোনো ধরণের অর্থ প্রদান বা ভর্তুকি দেওয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেছেন, পেট্রো ‘মাদকের ব্যাপক উৎপাদনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করেছেন।’
গত মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, তারা মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কলম্বিয়াকে মিত্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস কংগ্রেসে পাঠানো একটি স্বাক্ষরিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, তথাকথিত মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ জোটের পর ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে পেট্রোকে কেবল কোকেন উৎপাদন রোধে ব্যর্থতাই নয়, বরং ‘সর্বকালের রেকর্ড’ পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধির নিন্দা করেছিলেন।
কলম্বিয়া তার বৃহত্তম সামরিক অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছিল।
ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েন এবং ওয়াশিংটনের মতে নৌকাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক বহন করছে এমন জাহাজগুলোতে মার্কিন হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন পেট্রো।
রোববার পেট্রো তার পোস্টে, ট্রাম্প কলম্বিয়ায় এক ধরণের মার্কিন হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, যদিও ট্রাম্প কোনো ফলোআপ ছাড়াই তীব্র ভাষায় কথা বলেছেন।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাবেক গেরিলা পেট্রো মার্কিন নেতৃত্বাধীন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একটি আদর্শ পরিবর্তনের পক্ষে লড়াই করেছেন। জোরপূর্বক নির্মূলের পরিবর্তে মাদক পাচারের জন্য দায়ী সামাজিক সমস্যাগুলোর ওপর মনোবিবেশ করেছেন।
কলম্বিয়ান সরকার এবং জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, তার তত্ত্বাবধানে কোকেনের কাঁচামাল কোকার চাষ প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মাসে এক্স-এ লেখার সময়, পেট্রো এই পরিসংখ্যানের জন্য বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে ইউরোপে কোকেনের ব্যবহার বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের মাদকবিরোধী নীতি পরিবর্তন করা দরকার কারণ, কিন্তু এটি ব্যর্থ হয়েছে’।