শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার নিহত মিত্র চার্লি কার্ককে ‘সত্য ও স্বাধীনতার শহিদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং ডানপন্থী এই কর্মীকে আমেরিকার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রদান করেছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
কার্কের অশ্রুসিক্ত বিধবা স্ত্রীকে প্রেসিডেন্টের স্বাধীনতা পদক প্রদানের সময় ট্রাম্প ৩১ বছর বয়সী এই রক্ষণশীলকে সক্রেটিস, সেন্ট পিটার, আব্রাহাম লিংকন ও মার্টিন লুথার কিং-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বিষণ্ন অনুষ্ঠানে তিনি যাদেরকে উগ্র বামপন্থী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেন, তাদের বিরুদ্ধে তার দমন-পীড়ন দ্বিগুণ করার অঙ্গীকারও করেছেন।
কার্কের গুলিবর্ষণের পর তিনি এই গোষ্ঠীগুলোর ওপর দমন-পীড়ন শুরু করেন।
ট্রাম্প দেশের রক্ষণশীল অভিজাতদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চার্লির হত্যার পর, আমাদের দেশের এই উগ্র বাম সহিংসতা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের প্রতি একেবারেই সহনশীলতা থাকা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে লড়াই শেষ করেছি এবং আমরা আমাদের শহরগুলোকে অনিরাপদ হতে দেব না।’
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা কমপক্ষে ছয় জন বিদেশী নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জঘন্য হত্যাকাণ্ড উদযাপন’ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে, বিভাগটি আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ের নাগরিকদের দ্বারা আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করেছে যারা কার্ককে ‘বর্ণবাদী,’ ‘জেনোফোবিক’ বা অন্যান্য চরিত্রায়ন বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ‘যখন ফ্যাসিস্টরা মারা যায়, তখন ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করে না’ লেখার জন্য একজন জার্মান তার মার্কিন ভিসা হারিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে অন্যদের ভিসা বাতিল করেছে, যার মধ্যে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাজা যুদ্ধের বিক্ষোভে জড়িত কয়েকশ’ ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দুই সন্তানের জনক কার্ককে গত মাসে উটাহ কলেজ ক্যাম্পাসে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যার ফলে রক্ষণশীলদের মধ্যে শোকের ঢেউ ওঠে। ট্রাম্প জড়িতসহ ‘ উগ্র বামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এরই প্রেক্ষিতে ডেমোক্র্যাট-শাসিত বেশ কয়েকটি শহরে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য পাঠানো হয়েছে।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি সফর থেকে ফিরে এসে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় কার্কের বিধবা স্ত্রী এরিকা তাকে ধন্যবাদ জানান।
দিনটি ছিল এরিকার প্রয়াত স্বামীর ৩২তম জন্মদিন।
তিনি চোখের পানি মুছে ট্রাম্পকে বলেন, ‘আপনি তাকে জন্মদিনের সেরা উপহার দিয়েছেন।’
২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসনের বিরুদ্ধে চার্লি কার্কের হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারেন।