বাসস
  ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৩

গ্রিসের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ডেনিসের বাবা ২৩ দিনের অনশন ভেঙেছেন

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : গ্রিসের সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার শিকার এক ছাত্রের বাবা তার ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে রাজি করানোর পর ২৩ দিনের অনশন ধর্মঘট শেষ করেছেন।

৪৮ বছর বয়সী প্যানোস রুচি মঙ্গলবার পার্লামেন্টের সামনে টিভি কর্মীদের বলেছেন, ‘আজ অনশন ধর্মঘট শেষ হচ্ছে।’ তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পার্লামে›েরট সামনে তাঁবু খাটিয়েছিলেন। 

অ্যাথেন্স থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

রুচির ছেলে ডেনিস ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে লারিসার কেন্দ্রীয় শহরের কাছে যাত্রীবাহী একটি ট্রেন এবং মালবাহী একটি ট্রেনের সংঘর্ষে মারা যাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে ছিলেন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ছাত্র।

বিশেষজ্ঞদের সমর্থনপুষ্ট কিছু পরিবার সন্দেহ করছে, মালবাহী ট্রেনে থাকা অঘোষিত রাসায়নিকের কারণে বিস্ফোরণে তাদের প্রিয়জনরা মারা গেছেন।

কিন্তু বেশ কয়েকটি পরিবার নিহতদের দেহাবশেষের আরো পরীক্ষা করার আবেদন করলেও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে। কারণ, সরকারী তদন্তে জাহাজে অবৈধ পণ্যবাহী জাহাজের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

রুচি ডিএনএ পরীক্ষাও চেয়েছিলেন। কারণ তিনি বলেছিলেন যে, দুর্ঘটনার পরে তাকে দেওয়া পোড়া দেহাবশেষ আসলে তার ছেলের কি-না তা তিনি নিশ্চিত নন।

বিরোধী দলসহ  অনেক নাগরিক এমনকি গ্রীসের চার্চের প্রধানও তার প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা সোমবার তাকে সমর্থন জানাতে তার সাথে দেখা করেছিলেন।

মতামত জরিপে দেখা গেছে, গ্রীকদের একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বিশ্বাস করে, সরকার দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

নিহতদের পরিবার বিশ্বাস করে, দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় মূল্যবান প্রমাণ হারিয়ে গেছে।

আগস্টের শেষে তদন্ত শেষ হয়েছে।

লারিসার একজন সিনিয়র বিচারক গত সপ্তাহে ৩৬ জনকে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যার মধ্যে গ্রীক রেলওয়ে কর্মকর্তা, ইতালীয় মালিকানাধীন অপারেটিং কোম্পানি হেলেনিক ট্রেনের নির্বাহী এবং দুর্ঘটনার রাতে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার অন্তর্ভুক্ত।