শিরোনাম
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ভেনিজুয়েলার উপকূলে শুক্রবার মাদক বহনের সন্দেহে একটি নৌকায় আবারও হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ওই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
ট্রাম্প প্রশাসন এ হামলাকে মাদক চক্রের বিরুদ্ধে ঘোষিত একটি ‘সশস্ত্র সংঘাতের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
সামাজিক মাধ্যমে এক্স-এ দেওয়া বার্তায় হেগসেথ বলেন, ‘নৌকাটি মাদক পাচার করছিল এবং এতে চারজন পুরুষ মাদক সন্ত্রাসী ছিল।’ তিনি বলেন, হামলায় ওই চারজন নিহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এটি ছিল ক্যারিবীয় অঞ্চলে চতুর্থ প্রাণঘাতী হামলা। এ পর্যন্ত চারটি হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা তিনি ।
তিনি বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার উপকূলের ঠিক কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটি প্রচুর পরিমাণে মাদক পরিবহন করছিল। জাহাজটি আমাদের জনগণকে বিষ প্রয়োগের জন্য আমেরিকায় যাচ্ছিল, ঠিক তখন তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এই আক্রমণগুলো চালিয়ে যাওয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসে পাঠানো এক নোটিশে বলেছে, তার দেশ এখন মাদক কার্টেলগুলোর সঙ্গে সরাসরি সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে। তার পরই এই সর্বশেষ সামরিক পদক্ষেপটি নেওয়া হল।
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদক চোরাচালানকারীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর যে দাবি করেছে, তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনকি যদি নিশ্চিতভাবে মাদক পাচারকারীদের লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়, তবে সংক্ষিপ্ত বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সাধারণত অবৈধ।
পেন্টাগনের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট এই কার্টেলগুলোকে রাষ্ট্রবিহীন সশস্ত্র গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীদের ‘অবৈধ যোদ্ধা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।