শিরোনাম
ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : কানাডায় হাম রোগের পুনরুত্থানের পর প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানান, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য আলবার্টায় প্রিম্যাচুউর এক শিশু এ রোগে মারা গেছে। গত বছর দেশটিতে হামের পুনরুত্থান ঘটে।
খবর বার্তাসংস্থা এএফপি’র।
আলবার্টার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আদ্রিয়ানা লাগ্রাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেন, গর্ভাবস্থায় মায়ের হাম ধরা পড়ে। পরে তার শিশুটিও জন্মের পরপরই মারা যায়। তার মৃত্যুর কারণও ছিল হাম।
গত জুনে কানাডায় আরও একটি প্রিম্যাচুউর শিশু হামে মারা যায়। তবে কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল শিশুটির অন্য চিকিৎসাজনিত জটিলতা ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট করে জানায় নি।
লাগ্রাঞ্জ তার বিবৃতিতে সতর্ক করে দেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ সবচেয়ে বেশি হামের ঝুঁকিতে রয়েছে।
কানাডা ১৯৯৮ সালে টিকার মাধ্যমে হাম নির্মূলের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের নিউ ব্রান্সউইকে রোগটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।
২০২৫ সালের এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৬টি সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে। যার বেশিরভাগই আলবার্টা ও অন্টারিও প্রদেশে। জানা যায়, আক্রান্তদের ৮৮ শতাংশই টিকা নেননি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেনোনাইট, আমিশ ও অন্যান্য অ্যানাব্যাপ্টিস্ট সম্প্রদায়ের (ষোড়শ শতাব্দীর র্যাডিক্যাল সংস্কার থেকে উদ্ভূত খ্রিষ্টান) লোকেরা এ রোগে বশি আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ তােেদর মধ্যে টিকা গ্রহণের হার কম।
হাম অত্যন্ত সংক্রামক। এটি শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত রোগ। হাম আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। এ রোগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এমনকি নিউমোনিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহসহ গুরুতর জটিলতা মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।