শিরোনাম
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : গত মাসে কাতারে ইসরাইলি হামলার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কাতার ভূখণ্ডে ‘যেকোনো সশস্ত্র আক্রমণ ওয়াশিংটনের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রটিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশী আগ্রাসনের কারণে কাতার রাষ্ট্রের প্রতি অব্যাহত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কাতার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।’
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, কাতারের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিকসহ সকল আইনানুগ এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আঞ্চলিক মিত্রের ওপর ইসরাইলি হামলার পর এই চুক্তিটি আসে। এই হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের কর্মকর্তারা গাজা যুদ্ধের জন্য মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে হামলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং আর কখনো এমন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সাথে দেখা করার জন্য ওয়াশিংটনে ছিলেন এবং ৯ সেপ্টেম্বরের হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে তিনি তখন পর্যন্ত অবাধ্য ছিলেন।
কাতার উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং আল-উদেইদে এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের উপাদানগুলোর জন্য একটি আঞ্চলিক সদর দপ্তরও রয়েছে।