বাসস
  ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৭

বুধবার রাতে ফ্লোটিলা ইসরাইলের নৌ অবরোধের কবলে পড়তে পারে

ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদর্শিক মিত্র ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের অবসানের লক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনাকে বিপন্ন না করার জন্য গাজা ত্রাণবহর বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ এবং বেশ কয়েকজন ইতালীয় আইন প্রণেতা রয়েছেন। এর লক্ষ্য ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের নৌ অবরোধ ভেঙে ফেলা এবং এর জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। জাতিসংঘ বলেছে গাজাবাসী ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষে ভুগছে।

কিন্তু মেলোনি সতর্ক করে বলেছেন, সোমবার হোয়াইট হাউসে উন্মোচিত ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিনিধিত্ব করা ‘আশা ‘একটি ভঙ্গুর ভারসাম্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যা অনেক মানুষ ধ্বংস করতে পেরে খুশি হবে’। তার সরকার নৌবহরটিকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি ফ্রিগেট পাঠিয়েছে।

অতি-ডানপন্থী এই নেতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি যে, ইসরাইলি নৌ অবরোধ ভাঙার জন্য নৌবহরের প্রচেষ্টা একটি অজুহাত হিসেবে কাজ করতে পারে’।

মেলোনি আরও যোগ বলেছেন, ‘এই কারণেও আমি বিশ্বাস করি নৌবহরের এখনই থামানো উচিত এবং সাহায্যের নিরাপদ স্থানান্তরের জন্য উত্থাপিত বিভিন্ন প্রস্তাবগুলোর মধ্যে একটি গ্রহণ করা উচিত’।

তিনি বলেছেন, ‘অন্য যেকোনো বিকল্প শান্তি রোধের অজুহাত হয়ে ওঠার ঝুঁকি তৈরি করবে, সংঘাতকে ইন্ধন জোগাবে এবং সর্বোপরি গাজার জনগণকে প্রভাবিত করবে।’

গাজায় আক্রমণাত্মক অভিযানের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়া ইসরাইল কোনো যুক্তি ছাড়াই বারবার নৌবহরটিকে হামাসের অভিযান বলে অভিযোগ করেছে ।

তারা নৌবহরটিকে সাহায্য পৌঁছে দিতে বলেছে বরং ইসরাইলি বন্দরে পৌঁছে দিতে বলেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে  ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এটি গাজায় স্থানান্তর করবে।

তবে নৌবহরটি তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। জাতিসংঘ যা বলেছে তা হল মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম জাতিসংঘ ঘোষিত দুর্ভিক্ষ সত্ত্বেও অবরুদ্ধ অঞ্চলে সাহায্য প্রবেশে ইসরাইলের অস্বীকৃতি।

এই মাসের শুরুতে বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করার পর নৌবহরটি মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাতে ইসরাইলের নৌ অবরোধে পৌঁছাতে পারে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থিত ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামাস কর্তৃক গৃহীত জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এরপর ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে।